৩ টাকা বেড়েছে প্রতিপিস ডিমে

299

ডিম

রোজার মধ্যে কয়েক দফা দাম কমলেও ঈদের পর রাজধানীর বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারে পিস প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৩ টাকা করে। অর্থাৎ হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১২ থেকে ১৩ টাকা।

শুক্রবার (২৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার মধ্যে ডিমের চাহিদা কম থাকায় দাম বেশ কমে যায়। তবে ঈদের পর ডিমের চাহিদা বেশ বেড়েছে। যে কারণে দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর এক ডজনের কম নিলে প্রতিহালি ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ৩২ টাকা। অপরদিকে মুদিদোকানে প্রতিপিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকা।

রোজার চলাকালে ব্যবসায়ীরা ডজন হিসেবে ডিম বিক্রি করেছেন ৬৫-৭০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে মুদিদোকানে প্রতিপিস ডিম বিক্রি হয়েছে ৭ টাকায়। সে হিসাবে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা এবং খুচরাতে প্রতিপিসে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা।

তবে ডিমের এই দাম রোজা শুরুর আগের মাসের থেকেও বেশি। রোজা শুরুর আগের সপ্তাহেও ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করেছেন ৭৫-৮০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে মুদিদোকানে প্রতিপিস ডিম বিক্রি হয় ৮-৯ টাকায়।

ডিমের দামের বিষয়ে রামপুার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, রোজার কারণে মানুষ ডিম কম খাচ্ছিলো, যে কারণে রোজার মধ্যে ডিমের দাম কিছুটা কমে যায়। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ফলে দামও বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন এক ডরজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। যা রোজার মধ্যে ছিল ৭০ টাকা। তবে ঈদের পর এক লাফে ডিমের দাম বেড়ে এ পর্যায়ে আসেনি। ঈদের পর তিন দফায় ডিমের দাম বেড়েছে। প্রথমে দাম বেড়ে ৭৫ টাকা, এরপর ৮০ টাকা এবং এখন ৯০ টাকা হয়েছে।

হাজীপাড়ার ডিম ব্যবসায়ী সালাম বলেন, রোজার চলাকালে ডিমের চাহিদা কমলেও খামারে ডিমের উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক। ফলে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা কম থাকায় দাম কিছুটা কমে যায়। কিন্তু ঈদের পর ডিমের চাহিদা আবার বেড়েছে। যে কারণে দামও বেড়েছে। তবে এ দাম বৃদ্ধির হার রোজার আগের তুলনায় একটু বেশি।

এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা নিয়মিত সকালে ডিম খান। ডিমের দাম যতই বাড়ুক তারা কিনবেনই। কারণ যে কোনো খাবারের থেকে ডিমের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। আর এখন বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম চড়া। এরও একটা প্রভাব ডিমে আছে। সবজির দাম কমলে দেখবেন ডিমের দামও কিছুটা কমে গেছে।

রামপুরার মুদিদোকানি শামছু জানান, রোজার মধ্যে একপিস ডিম বিক্রি করেছেন ৭ টাকায় এবং হালি ২৫ টাকায়। এখন একপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা এবং হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। সে হিসাবে হালিতে ১৩ টাকা এবং পিসে ৩ টাকা ডিমের দাম বেড়েছে।

শান্তিনগরের ডিম ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, ঈদের পর ডিমের দাম গত সপ্তাহে বেড়ে ৮০ টাকা ডজন হয়েছে। এখন ডিমের দাম আরও বেড়েছে। আড়তে ডিমের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে ৯০ টাকার নিচে ডিমের ডজন বিক্রি করার উপায় নেই। সূত্র: জেএন

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন