জয়পুরহাটে কেঁচো সার উৎপাদন প্রদর্শনীর মাঠ দিবস

358

কোচা

জয়পুরহাট: মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কেঁচো সার উৎপাদন প্রদর্শনীর মাঠ দিবস মঙ্গলবার সদর উপজেলার চকদাদরা গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদনকারী চাষি সবুজের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।

এ অনুষ্ঠানে চাষিদের কেঁচো সার উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মহব্বত হোসেন।

স্থানীয় চাষি আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র মন্ডল, রতন কুমার, আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

কেঁচো সার উৎপাদনের কলাকৌশল, ডিজিটাল কৃষি সেবা ব্যবহার, রোপা আমন ধানের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আওতায় সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈবসার উৎপাদন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে ২শ’ ২৫ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে ভার্মি কম্পোস্ট ( কেচোঁ সার) ও উপকরন বিতরণ করা হয়েছে। মাটির পুষ্টিমান বৃদ্ধি, মাটির পানির ধারন ক্ষমতা বাড়ানো, ভূমিক্ষয় রোধ, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাটির রাসায়নিক বিক্রিয়ার মান নিরপেক্ষ রাখতে সহায়তা করে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেচোঁ সার।

কেচোঁ সারের উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন শতকরা এক ভাগ, ফসফরাস এক ভাগ, পটাশিয়াম এক ভাগ, জৈব কার্বন ১৮ ভাগ ও পানি রয়েছে ১৫ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত। কেচোঁ কম্পোস্ট তৈরির জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে প্রথমে গর্ত তৈরি করে রিং স্থাপনের পর নিচে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর গর্তে ছোট ছোট কাটা ঘাস, আমের পাতা, হাস মুরগির বিষ্টা, পচা গোবর দিয়ে ২০০টি কেচোঁ প্রয়োগ করতে হবে। রিংয়ের উপরি ভাগে পাটের ভিজানো বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ৩ দিন পর ২১ দিন পর্যন্ত ৫০-৬০ ভাগ আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য হালকা পানি ছিটাতে হবে। ২৮ -৩২ দিনের মাথায় কেঁচো সার সংগ্রহ করার উপযোগী হয়। ২ ঘণ্টা রোদে শুকানোর পর বাজারজাত করাসহ মাঠের ধান, আলু, শাকসবজি, ফুলের টবে বা ছাদ কৃষিতে এ সার ব্যবহার করা যাবে বলে জানান, কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম।সূত্র: বাসস

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন