মালচিং পেপার ও আধুনিক প্রযুক্তিতে লাউ চাষে লাভবান চুয়াডাঙ্গায় কৃষকরা

558

লাউ-চাষ

চুয়াডাঙ্গা : কৃষকরা মালচিং পেপার ও আধুনিক প্রযুক্তিতে লাউ চাষ শুরু করেছেন চুয়াডাঙ্গায়। এ প্রযুক্তিতে কৃষকরা লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আগে মাচায় তরমুজ চাষের পর জমি এক বছর পতিত থাকতো। কিন্তু সেই পতিত জমিতে কৃষকরা লাউ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। কৃষকরা বলছেন লাউ চাষ এ পদ্ধিতে খুব লাভজনক। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার নেই। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় কৃষকরা মালচিং ও আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কৃষকরা মাচায় তরমুজ চাষ করার পর প্রায় ১ বছর জমি পতিত রাখত। পতিত জমিতে এখন কৃষকরা সহজে লাউ চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন। লাউ চাষ করতে কৃষকদের বীজ কেনা ছাড়া অন্য খরচ নাই।

এ পদ্ধতিতে লাউ চাষ করার ফলে জমিতে আগাছা কম হয়। তরমুজ চাষে কৃষকরা মালচিং পেপার ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সেই জমিতে কৃষকরা লাউয়ের বীজ রোপণ করেন। মাচায় লাউ গাছ ওঠার পর অল্প সময়ে ফুল আসতে শুরু করে। গাছে লাউ ধরার অল্প দিনে বাজারে বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে লাউ চাষ করতে প্রথমে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু তরমুজের মাচায় লাউ চাষের কারণে কৃষকদের কোন খরচ নেই। বছরে একই জমিতে দুটি ফসল চাষ করা সম্ভাব হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকত তালহা জুবায়ের মাশরুর বলেন, রাসায়নিক ও কীটনাশক সারের ব্যাবহার না থাকায় ক্ষতিকর কোন প্রভাব নেই। মালচিং পেপার ও আধুনিক প্রযুক্তিতে লাউ চাষ করে কৃষকরা এক বিঘা জমি থেকে প্রায় এক লাখ টাকার লাউ বিক্রি করছেন। এ লাউ সুস্বাধু ও বাজারে চাহিদা বেশি। বর্তমানে কৃষকরা হাটে ও বাজারে একটি লাউ ১৬-২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটক/ মোমিন