গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগের নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবন

418

1

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশে সঞ্চরণশীল ভাইরাস দ্বারা একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচ্চ শিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) আওতায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ক্ষুরা রোগের কারণে বাংলাদেশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু অর্থ ব্যয় করার পরও টিকার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিজেন ব্যবহার না করার ফলে অকার্যকর হয়। তাছাড়া টিকার বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ভাইরাস নিউট্রালাইজেশনে পরীক্ষা করে দেখা গেছে নতুন উদ্ভাবিত টিকা দেশের ক্ষুরা রোগের ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের অর্থনীতির জন্য প্রাণিসম্পদ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হলেও কিছু সংক্রামক রোগের কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে পারছে না। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত ক্ষুরা রোগের নতুন ট্রাইভ্যালেন্ট দেশের প্রাণিসম্পদে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ টিকার দামও মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। পশুকে প্রতিটি টিকা দিতে গুণতে হবে মাত্র ৬০ টাকা।”

গরুর-খুড়া-রোগ

টিকা উদ্ভাবন টিমের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের দেশে আমদানিকৃত ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিনের অধিকাংশই কাজ করছিলো না। আবার ক্ষুরা রোগের উপস্থিতিও বেশি। এজন্য আমরা গবেষণায় হাত দেই। আমাদের গবেষণা প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতায় এবং হেকেপের তত্ত্বাবধায়নে ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে। প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেশের ক্ষুরা রোগের নমুনা সংগ্রহ করে জানতে পারি দেশে তিন ধরনের ক্ষুরা রোগের উপস্থিত আছে। পরে গবেষণায় আমাদের রেজাল্ট আসে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান, হেকেপ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর গোরাঙ্গ চন্দ্র মহান্থা, ড. জাফর ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লা প্রমুখ।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন