চলনবিলে হাঁস পালনে সাবলম্বী শতাধিক পরিবার

1020
ছবি: প্রতিণিধি
ছবি: প্রতিণিধি
ছবি: প্রতিণিধি

নাহিদ হোসেন, নাটোর থেকে: চলনবিলে হাঁস পালনে সাবলম্বী হয়েছে শতাধিক পরিবার। এসব পরিবার বছরের পুরোটা সময় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। মূলত হাঁস পালনে ডিম বিক্রি করেই সংসারের অভাব অনটন মেটায় ঐ পরিবারগুলো।

তাছাড়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও যোগান দেয়া হয়। চলনবিলের সিংড়া উপজেলার শতাধিক পরিবারের উপার্জন হাস পালনে। সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার নিজ উদ্দেগে হাঁস পালন করে আসছেন। এর মধ্যে ডাহিয়া, আয়েশ, বিয়াশ, কালিনগর, সাতপুকুরিয়া, হিজলী, কান্তনগর গ্রামের অনেক পরিবার ভ্রাম্যমাণ হাস পালন করে সংসার চালাচ্ছেন।

সরকারি কোন সহযোগিতা ছাড়াই এসব পরিবার সাবলম্বী হয়ে উঠছে। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো অনেকেই হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে জানান তারা।

কথা হয় বলিয়াবাড়ি গ্রামের আ. মালেকের সাথে তিনি ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারকে বলেন, সমিতি থেকে লোন নিয়ে হাঁস পালন করছি। কিন্ত সরকারিভাবে কোন লোন পাইনি। একটি বাড়ি একটি খামারের উপকার ভোগিরা সরকারিভাবে সহয়োগিতা পেলেও তারা টাকা কাজে লাগান না বলে অভিযোগ করেন।

আ. মালেক আরও জানান, সে হাঁস পালনে সংসার চালান। তার গত বছর কলেরা রোগে ১০০টির মত হাঁস মরে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। তবে বর্তমানে ২০৮টি হাঁস রয়েছে। ডিম বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নিয়েছেন।

নাছিয়ারকান্দি গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, ৬ বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। বর্তমানে ৪০০টি রয়েছে। হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছি।

কালিনগর গ্রামের আলেফ ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারকে বলেন, প্রায় ১৫ বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। এটি লাভ জনক। ৭০০টি হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন ৩০০/৪০০টি ডিম বিক্রি করা হয়। ডিম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা শ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।

আলেফ আরো জানান, সারা বছর হাঁস পালন করেন। হাঁসের খাবার মেটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে খামার স্থাপন করেন। প্রকৃতিকভাবে খাবার মেটানো খরচ কম হয়। শুধু পরিশ্রম বেশি হয়, তবে লাভ বেশি হচ্ছে।

কথা হয় কয়েকজন ডিমের আড়ৎদারের সাথে তারা জানান, প্রতিদিন তারা কয়েক হাজার ডিম কিনে নেন এবং তা বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। ডিম বিক্রি করে সংসারের প্রয়োজন মেটান অনেকে। এনবি

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন