বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কুমিল্লার আয়োজনে বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে বারির প্রশিক্ষণ কক্ষে রোববার (১১ নভেম্বর) উপসহকারী কৃষি, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক সহকারী এবং এনজিও প্রতিনিধিদের এক দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে অধিক পরিমাণে মসলা ব্যবহৃত হয় বিদেশ থেকে আমদানি করে। আমদানি করা মসলা স্বাদে ও পুষ্টিতে বাংলাদেশের মসলার তুলনায় কম। তাছাড়া এসব মসলা আমদানি করার জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। এসব ক্ষয় ক্ষতি পুষিয়ে বাংলাদেশে মসলা ফসল অধিক পরিমাণে উৎপাদন করে দেশের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি উপযোগী করে কৃষকদের এগিয়ে নেয়া এ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজিপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।
প্রধান অতিথি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন- খাবারের স্বাদ, গন্ধ এবং খাবার নান্দনিক দেখার জন্য আমরা মসলা ব্যবহার করি। এটাই হয়ত আমাদের সকলের ধারণা। মসলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না মসলা ক্যান্সারের মত অনেক কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে অল্প এক টুকরো জমিতে মসলা জাতীয় ফসলের চাষ করে যে কোন ফসলের তুলনায় কয়েক গুণ হারে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেন- কৃষিবিদ ড. মো. ওবায়দুল্লাহ্ কায়সার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কুমিল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে টেকনিক্যাল শেসন পরিচালনা করেন- কৃষিবিদ ড. মো. হায়দার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন বিভাগ, কুমিল্লা; মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, গাজিপুর; কৃষিবিদ কামরুন নাহার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা।
প্রশিক্ষণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ধনিয়া, বিলাতি ধনিয়া, আলুবোখারা, দারুচিনি, তেজপাতা, কালোজিরা, মেথী এবং গোলমরিচ সম্পর্কে প্রশিক্ষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন- প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন