নড়াইল: জেলায় আমনের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা। এরইমধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় ধান কাটা, মাড়াই করা, ধান ও খড় শুকাতে বোরো মৌসুমের মতো কষ্ট হচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্পসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে।
কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং পোকার আক্রমণ না থাকায় এ বছর জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর কৃষকরা বিনা-৭, ধানী গোল্ড, স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা, বাবু স্বর্ণা, বিআর-৩৯, বিআর-৪৯, নতুন জাতের ধান বিআর-৭১, বিআর-৭৫ সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করেছে।
লোহাগড়া উপজেলার দেবি গ্রামের কৃষক মো. সুজন জানান, এ বছর অনেক ভাল ধান হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং কারেন্ট পোকার আক্রমণ না থাকায় ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। আশা করছি দামও ভাল পাব।
কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, গত বছর আমাদের এলাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
সদর উপজেলার ফেদি গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর ধানের ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবহাওয়া ভাল থাকায় ধান কাটতে সুবিধা হয়েছে। গত বোরো মৌসুমে বৃষ্টির কারণে ধান কেটে ঘরে তুলতে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয়েছে। এ ধান ঘরে তুলে সারা বছরের খাবারের পাশাপাশি উদ্বৃত্ত ধান বিক্রি করে সংসারের খরচ, সন্তানদের পড়াশোনার খরচসহ সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক চিন্ময় কুমার রায় বলেন, খাদ্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার হেক্টর। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ধান কাটতে শুরু করেছে। আশা করছি কৃষকরা তাদের ফসলের নায্য মূল্য পাবে বলেও জানান তিনি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এমএস