কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম কায়সার রহমানের সাথে কথা হয় ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪.কম এর প্রতিনিধির।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার: পোল্ট্র্রিসহ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের সহায়ক হিসেবের আপনার স্বনামধন্য কোম্পানির ভূমিকা কি?
এম কায়সার রহমান : কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেড ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত এ দেশের ভোক্তাদের প্রাণীজ পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও খামারীদের উৎপাদনমূখী করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য। এ লক্ষে কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেড উচ্চমান সম্পন্ন মৎস্য ও প্রাণিখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের মাধ্যমে দেশব্যাপী ১০০০ জনেরও বেশি এজেন্ট, ৯টি জোনাল অফিস, ২১টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ২২ ডিপো এবং ১৪টি পোল্ট্রি ডিজিজেস ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও ২টি ফিস ল্যাবের মাধ্যমে সারাদেশ জুড়ে পোল্ট্রি, মাছ, চিংড়ি এবং গবাদি পশুর খামারীদের সেবা প্রদান করে আসছে। কোম্পানির পোল্ট্রি, ক্যাটেল, চিংড়ি ও ফিস ফিড (ডুবন্ত এবং ভাসমান উভয়) এবং ম্যাশ ফিড উৎপাদন করতে সক্ষম ১৫টি স্বতন্ত্র প্ল্যান্ট রয়েছে। প্ল্যান্টগুলি কৌশলগতভাবে গাজীপুর ও বগুড়ায় অবস্থিত।
কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেডের কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্যাকেজিংয়ে জড়িত মোট ৫টি সহযোগী সংস্থা রয়েছেঃ
১. কোয়ালিটি ব্রিডার্স লি. যা ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই কোয়ালিটি ব্রিডার্স লি. উচ্চমানসম্পন্ন এক দিনের ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ও সরবরাহ করছে।
২. কোয়ালিটি গ্রেইন্স লি. এটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শস্য বীজ এবং কৃষি প্রকৃতির অন্যান্য উপকরণ শুকানো প্রক্রিয়াকরণ ও গুদামজাতকরণের উদ্দেশ্যে এটি স্থাপন করা হয়েছে।
৩. কোয়ালিটি একুয়া ব্রিডর্স লি. এটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে কোয়ালিটি একুয়া ব্রিডর্স লি. তেলাপিয়া, পাঁঙ্গাশ এবং মাগুরের পোনা সুলভমূল্যে মাছ চাষিদের সরবরাহ করছে।
৪. কোয়ালিটি ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো লি. মানুষের পুষ্টি চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে জুন/২০১৬ হতে প্রথম বারের মত ”কোয়ালিটি প্রিমিয়াম এগ” নামে নতুন এগ্রো পণ্য ডিম বাজারজাতকরণের মাধ্যমে যাত্র শুরু করে। বর্তমানে কিউ-বিষ্ট্রো নামে ঢাকা, সিলেট ও বি-বাড়িয়াতে বেশ কিছু আউটলেট চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এর কার্যক্রম বিস্তৃত হবে।
৫. এলায়্যান্স ব্যাগ লিঃ ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এলায়্যান্স ব্যাগ লি. খাদ্যশস্য, পশুখাদ্য, সার, সিমেন্ট, বীজ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ও শিল্প ব্যবহারের জন্য বায়োডিগ্রেডেবল পি.পি. ওভেন ব্যাগ উৎপাদন করছে।
কোয়ালিটি ফিডস লি. শুরু থেকেই খামারিদের জন্য উন্নতমানের, উচ্চ পুষ্টিমান সমপন্ন পণ্য উৎপাদন ও বিপনন করে আসছে এ ক্ষেত্রে কোম্পানীর রয়েছে বিস্তৃত বহুমূখী পণ্য তালিকা ও খামারীদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে ধারাবাহিক বহুমূখী সেবা। একই জাতের জন্য রয়েছে একাধিক ফিড ব্র্যান্ড যেখান থেকে খামারীগণ পছন্দ ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহজেই পণ্য বেছে নিতে পারেন। কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেড কর্তৃক উৎপাদিত পোল্ট্রি, ফিস, ক্যাটেল ও শ্রিম্প ফিড অধিক ফল দায়ক ও আর্থিকভাবে বেশ লাভ জনক।
তাছাড়া কোয়ালিটি ফিডস লিঃ রয়েছে শক্তিশালী বৃহৎ সেলস ও মার্কেটিং টিম, ডিপো সার্ভিস, ফিস ও পোল্ট্রি ডায়াগনষ্টিক ল্যাব একাধিক জোনাল ও রিজিওনাল অফিস, কল সেন্টার ও ফিল্ড সার্ভে টিম যারা কোম্পানীর সাথে এজেন্ট ও খামারীদের সেতু বন্ধন হিসাবে কাজ করে চলছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার: পোল্ট্রি শিল্প স্থিতিশীল ও গতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি কি কি সমস্যা দেখছেন? সমস্যা সমূহ থেকে উত্তরনের উপায় কি?
এম কায়সার রহমান: পোলট্রি শিল্প স্থিতিশীল ও গতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেমন:
আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি কাঁচামালের দাম দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খাদ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
এই সেক্টরে ব্যাংকের সুদের হার খুব বেশী যা গড়ে ১২-১৪% ।
মুদ্রাস্ফীতি। বিগত বছর চেয়ে ডলারের দাম বেড়েছে ৮%।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সহ অন্যান্য রোগের প্রাদুভার্ব।
মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের দৌরাত্মের কারণে খামারীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত।
অতিরিক্ত লোড শেডিং যা তাদের উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পোল্ট্রি খামারে বৈদ্যুতিক সংযোগের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সংযোগ দেয়া হয় যার ইউনিট মূল্য বেশি। ফলশ্রুতিতে খামারীদের পণ্য উৎপাদনের ব্যয় বাড়ছে।
খামারীদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় হিমাগারের অভাব।
নাম সর্বস্ব কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ফিড বাকীতে বিক্রয়ের অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।
খামারীদের মুরগি পালন সম্পর্কিত পর্যাপ্তÍ জ্ঞানের অভাব।
ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামের অস্থিতিশীলতা।
পোল্ট্রি শিল্পে “বীমা” সুবিধা না থাকা।
রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি।
পণ্য পরিবহনে পথে পথে চাদাঁবাজি।
কাস্টম ক্লিয়ারিং এর ক্ষেত্রে জটিলতা, কাঁচামাল আমদানিতে অতিরিক্ত ট্যাক্স, এনওসি প্রাপ্তিতে দীর্ঘসুক্তিতাসহ নানা জটিলতায় ফিড মিলারদের সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা বেশ কষ্টসাধ্য।
এই সব সমস্যা থেকে উত্তরনের উপায় :
জনসাধারণ ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা অপরীহার্য। বেসরকারি খাত এবং সরকারের মধ্যে কৌশলগত জোট উন্নত করা যেতে পারে এবং এই খাতে বিনিয়োগের জন্য অনাবাসী বাংলাদেশীদের উৎসাহিত করা উচিত।
উন্নতমানের পোল্ট্রি ফিড উৎপাদন এবং জেলা পর্যায়ে খাদ্য বিশ্লেষণমূলক ও গুনমান নিয়ন্ত্রন পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা।
মজুত আমদানীতে করের বোঝা প্রত্যাহার করা উচিত।
হাস মুরগি খাতে ব্যাংক ঋন বছরে ৫-৭% সাধারণ সুদের হারে করা উচিত এবং ঋনের শর্তগুলোও সহজ করা উচিত। তাছাড়া ঋন ও বিশেষ পরিসেবার জন্য বিশেষ উইন্ডো খুলতে ব্যাংকগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে যাতে নতুন উদ্যোক্তরা এই সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারেন।
মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম পুরো বছর ধরে স্থির করা উচিত। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে খামারীদের জন্য পুরো বছরের উৎপাদন খরচ বিবেচনা করা উচিত।
সরবরাহ শৃঙ্খলা আনতে এর ব্যবস্থাপনা উন্নত করা উচিত যাতে খামারীরা খুচরা দোকানে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের বাদ দিয়ে সরাসরি পণ্য সরবরাহ করতে পারে।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা দ্বারা প্রভাবিত খামারগুলি অবিলম্বে কালিং করে এর পরে খামারীর জন্য সরকার থেকে ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগ নিয়ন্ত্রনে জীব নিরাপত্ত মেনে চলতে হবে।
প্রকৃত উৎপাদকদের সাহায্য করার জন্য সরকার একটি বিশেষ তহবিল তৈরি করতে পারে।
পোল্ট্রি বীমা অবিলম্বে চালু করা উচিত।
বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে সেচের মত সাবসিডি দিতে হবে।
পোল্ট্রি সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী করার জন্য পেশাদারী প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
পোল্ট্রি এবং বিপননের সর্বশেষ জ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য খামারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কর্মশালা, সেমিনার, সম্মেলনের ব্যবস্থা করা উচিত।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার: প্রান্তিক খামারীদের নিয়ে আপনার ভাবনা ও আপনি তাদের নিয়ে কি কি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন?
এম কায়সার রহমান: : আমাদের দেশের প্রান্তিক মানুষ সর্বক্ষেত্রেই অবহেলিত, বঞ্চিত। প্রান্তিক খামারীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি অনুরূপ। অথচ এই প্রান্তিক মানুষের শ্রম ও মেধার ওপর দাড়িয়ে আছে দেশের অর্থনীতি ও প্রাণ প্রাচুর্য। আজ যে আমরা খাদ্যে প্রায় স্বয়ং সম্পূর্ণ, সেটা সম্ভব হয়েছে প্রান্তিক মানুষের উদ্যমের ফলেই। তাই প্রান্তিক খামারীদের নিয়ে আমাদের যে ভাবনা গুলো তা আলোক পাত করা হলোঃ
পোল্ট্রি ইন্ডাসট্রিজ ধীরে ধীরে বড় হলেও এর সমস্যা অনেক। বিভিন্ন কারণে একদিকে পোল্ট্রি ফিড ও ঔষধের মূল্য বৃদ্ধি অন্য দিকে মাছ, মুরগি ও ডিমের মূল্য হ্রাসের ফলে বিপর্যয়ের মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছে খামারগুলি। প্রান্তিক খামারীরা যে পণ্য উৎপাদন করছে সেই পণ্যের উৎপাদন খরচ কমিয়ে তারা যেন তাদের পণ্যের ন্যায্য ও সঠিক মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
উদ্যোক্তাদের নতুন উদ্ভাবনের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং উদ্ভাবনি এ প্রযুক্তির সাথে খামারীদের পরিচিত করতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
খামারীদের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে ধারনা দেয়া এবং সে সম্পর্কে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতা করা।
প্রান্তিক খামারীদের মাছ, মুরগি পালন সম্পর্কিত ব্যবস্থাপনা ও রোগ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রান্তিক খামারী ও পোল্ট্রি টেকনিশিয়ানদের সমন্বয় করে এগিয়ে চলতে হবে।
নিয়মিত ল্যাবে রক্ত পরিক্ষার মাধ্যমে রানীক্ষেত, সালমোনেলা ও মাইকোপ্লাজমা নির্নয় করে সুনির্দিষ্ট রোগের জন্য রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান এর মাধ্যমে প্রান্তিক খামারীদের প্রাণীর চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রান্তিক খামারীরা মধ্যস্বত্ত্বভোগী শ্রেণির হাতে জিম্মি হয়ে আছে, তাই উৎপাদক ও মার্কেটে এর মধ্যে সরাসরি একটি সংযোগ স্থাপন জরুরি।
প্রান্তিক খামারীদের গ্রুপ আকারে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় আনা এবং লিডার খামারী তৈরী করা।
জরুরী সেবা প্রদানে টোল ফ্রি নম্বরসহ কল সেন্টার সার্ভিস চালু করা উচিত।
নিরাপদ প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রান্তিক খামারীদের জৈব নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জনে ভুমিকা রাখা যেতে পারে।
পোল্ট্রি শিল্পে বীমার সুবিধাদী দেওয়া।
সর্বোপরি প্রান্তিক খামারীদের জন্য সরকারের যুগোপযোগী ও টেকসই নীতিমালা জরুরী।
প্রান্তিক খামারীদের নিয়ে কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেড যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা নিম্নরূপঃ
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ লেয়ার খামারীদের বিনামূল্যে ঠোঁট ছ্যাঁকা, ঠোঁট কাটা ও ভ্যাকসিন প্রদান সেবা প্রদান করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে লেয়ার খামারীর উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাচ্ছে।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ সারা দেশে ১৬টি ল্যাব সার্ভিসের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারীদের ল্যাব সার্ভিস প্রদান করছে। এখান থেকে খামারীরা রানীক্ষেত, সালমোনেলা, মাইকোপ্লাজমা, পানির ভৌত ও রাসায়নিক গুনাবলী পরিক্ষা, ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি নির্ণয় ও চাষের পুকুরে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারের প্রভাব ও প্রতিকার ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করছে।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ প্রান্তিক খামারীদের মুরগিকে পানিবাহিত রোগ হতে রক্ষা করার জন্য কিউগার্ড নামক এক প্রকার পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করছে। যার ফলে খামারীদের সালমোনেলা, ই-কলাই, ফাউল টাইফয়েড, ফাউল কলেরা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অনেকাংশে মুক্ত থাকতে পারছে এতে ঔষধ খরচও কম হচ্ছে।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ খামারীদের সবসময় উদ্ভাবনী নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করে থাকে যেমন: মাচা পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন, লেয়ার মুরগির খাচার ট্রেতে সুতার ব্যবহার (ডিম ভাঙ্গা থেকে রক্ষা করে), লেয়ার মুরগির মল অপসারণের ক্ষেত্রে স্ত্র্যাপারের ব্যবহার, রুফ ফ্যানের ব্যবহার, আদর্শ পর্দা ব্যবস্থাপনা, ফুটবাথের ব্যবহার ইত্যাদি সহ সল্পমূল্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান। এর ফলে প্রান্তিক খামারীরা একদিকে যেমন নিরাপদ প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদন করছে অন্যদিকে খামার পরিচালনার ব্যয়ভারও কমে যাচ্ছে।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ বিভিন্ন এলাকায় লিডার খামারী তৈরীর পাশাপাশি জরুরী সেবা প্রদানে কল সেন্টার সার্ভিস চালু করেছে।
বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক খামারীদের কোয়ালিটি ফিডস লিঃ এর নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে পোল্ট্রি পালন, ব্যবস্থাপনা ও রোগ বালাই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারীরা খামার পরিচালনার সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে পারছেন ও সমাধান বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনাও পাচ্ছেন।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ প্রান্তিক খামারীদের কথা মাথায় রেখে উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়নের জন্য চালু করেছে নিজস্ব ট্রায়াল ফার্ম। শুধুমাত্র ট্রায়াল ফার্মের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পণ্যই বাজারজাত করা হয়ে থাকে।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ রয়েছে শক্তিশালী বৃহৎ সেলস ও মার্কেটিং টিম। যার মধ্যে ফিসারিজ টেকনিক্যাল অফিসার, ডিভিএম ও জেনারেল অফিসারগণও রয়েছেন। এই বৃহৎ সেলস ও মার্কেটিং টিম কোম্পানীর সাথে এজেন্ট ও খামারীদের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে চলছে।
প্রান্তিক খামারীদের উজ্জীবিত করার জন্য কোয়ালিটি ফিডস লিঃ তাদেরকে উপহার প্রদান করে আসছে যেমন : ফার্মে ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার, ছাতা, টিশার্ট, প্যাড, কলম, থার্মোমিটার, বালতি, গামবুট, মগ, ঘড়ি ইত্যাদি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার: পোল্ট্রি শিল্প নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
এম কায়সার রহমান: ব্রয়লারের বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কোয়ালিটি ইন্ট্রিগ্রেটেড এগ্রো লিমিটেডের মাধ্যমে মিট প্রসেসিং এবং ফারদার প্রসেসিং ইউনিট স্থাপন করে ব্রয়লার জাত পণ্য উৎপাদন ও বিপনন করা হচ্ছে।
কোয়ালিটি ফিডস লিঃ খামারীদের লেয়ার বাচ্চা প্রাপ্যতা সহজীকরনে লেয়ার হ্যাচারী স্থাপনের পরিকল্পনা।
একদিনের ব্রয়লার বাচ্চার উৎপাদন বর্ধিতকরণ।
বর্তমানে ব্রয়লার লেয়ার পালনের পাশাপাশি খামারীরা সোনালী জাত মুরগি পালনে অধিক আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু তারা সোনালী পালনে ১ দিন বয়সী ভালো মানের বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারছেনা। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই কোয়ালিটি ব্রীডার্স লিঃ এর বাজারে ১ দিন বয়সী সোনালী বাচ্চা আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রান্তিক খামারীদের সেবা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে পোল্ট্রি ডিজিস ডায়াগনষ্টিক ল্যাব এর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো এবং চাহিদা অনুযায়ী আরও ডি.ভি.এম ও ফিসারীজ অফিসার নিয়োগ।
এজেন্ট ও খামারীরা যাতে স্বল্পসময়ে সহজে ফিড সংগ্রহ করতে পারে সেই জন্য ডিপো ও ডেলিভারি ব্যবস্থা আর সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে হবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার: ধন্যবাদ।
ফার্মস্অ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/শফিকুল ইসলাম/ মোমিন।