চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজি ১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সবব্জি চাষ শুরু হয়েছে। কম মেয়াদী সবজির ফলন শুরু হওয়াতে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তবে আগামী ১ মাসের মধ্যে এসব সবজি আরো বেশী করে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর রবি মৌসুম শুরু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে এবং এ মৌসুম শেষ হয় ১৫ মার্চ। সে হিসেবে বর্ষা মৌসুম শেষে জমিগুলো শুকানোর পর থেকে শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ। ১৫ মার্চের পরে শুরু হবে খরিপ আবাদ।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া, চান্দ্রা, লক্ষীপুর, বহরিয়া, গুলিশা, মমিন বাড়ী ও রানীর হাট এলাকায় দেখাগেছে বাড়ীর আঙ্গিনায় ভিটা জমিতে এবং মাঠে বিভিন্ন সব্জি আবাদ হয়েছে।
বহরিয়া গ্রামের কৃষক আলফাজ ইসলাম ও গিয়াসুদ্দিন সর্দার জানান, তাদের জমিতে ধনিয়া, লাল শাক, মুলা শাক, ফুলকপি, লাউ, কুমড়া, শসা, মরিচ আবাদ করেছেন। এর মধ্যে কিছু সবজি বিক্রিও শুরু করেছেন। আবার কোন কোন সবজি বেড়ে উঠছে।
কৃষক গিয়াসুদ্দিন জানান, লাল শাক, মুলা শাক ও ধনিয়া পাতা তারা এ মৌসুমে কয়েকবার আবাদ করেন এবং বিক্রিও করেন।
গুলিশা গ্রামেও দেখা গেলো বাড়ীর ভিটা জমি ও রাস্তার পাশে কৃষকরা লাউ, কুমড়া শাক, ধনিয়া পাতাসহ নানা সবজির আবাদ করেছেন। এসব সবজি বিষমুক্ত।
কৃষক মজিদুল হক জানান, গুলিশা গ্রামের অনেক কৃষক রয়েছেন যারা কৃষিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় অত্র এলাকায় ভাল সবজি চাষ করে আসছেন। বিশেষ করে কিভাবে বিষমুক্ত সবজি চাষ করা যায় সে পদ্ধতি অনেকেরই জানা আছে। একজনের দেখাদেখি অনেকেই এ ধরনের সবজি চাষে এগিয়ে আসছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিল আতিয়া পারভীন জানান, আমরা নিয়মিত কৃষকদের খোঁজ-খবর রাখি এবং পরামর্শ দেই। তাদেরকে উন্নত বীজ ও সার দিয়ে থাকেন সরকার। বিভিন্ন সময়ে পোকামাকড়-এর আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য কৃষকদের বিষমুক্ত পদ্ধতির বিষয়েও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন