মো. জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী থেকে: অগ্রহায়ণে মাসে বারোমাসি কাঁচা-পাকা আম ও আম গাছের মুকুলের ঘ্রাণ মুখরিত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ইসলামীয়া মাদরাসা ও এর আশপাশের এলাকা।
শীত পেরিয়ে বসন্ত এলে তবেই না গাছে ফোটবে আমের মুকুল। তবে এর ব্যতিক্রম নোয়াখালীর সেনবাগের ফতেহপুর গ্রামে। বর্তমানে বাতাসে কাঁচা ও পাকা আম এবং আমের মুকুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ গন্ধে চারদিকে ছড়িয়েছে পড়েছে পাগল করা ঘ্রাণ।
প্রকৃতিতে বাংলা ফাল্গুন মাসে আমের মুকুল এসে থাকলেও নোয়াখালীর সেনবাগে অগ্রহায়ণে মাসসহ পুরো বছর এমন বারমাসি আম ও মুকলে ঘ্রাণ মাতিয়ে রাখছে পুরো এলাকা। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুল ও কাঁচা-পাকা আমে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডাল-পালা। মাদরাসার আঙিনায় লাগানো চারটি আম গাছে সারা বছর জুড়ে মুকুল আসে এবং প্রতিটি ডালে অসংখ্য ছোট-বড় আম ঝুলতে দেখা যায়। ওই আম গাছের আম এবং মুকুল দেখার জন্য প্রায়ই প্রতিনিয়তই ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় ও দুরদুরান্ত থেকে আগত লোকজন।
ফতেহ্পুর ইসলামীয় মাদরাসার মুহতামিম ও যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা বেলাল হুসাইন ফতেহ্পরী জানান, বিগত ৬/৭ বছর আগে সেনবাগ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিস থেকে একটি প্রকল্পের অধীন থেকে তাদের বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ সরবরাহ করা হয়। ওই গাছ আজকে এই বারোমাসি আমগাছ। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে আরো তিনটি গাছ লাগানো হয়। বর্তমানে বারোমাসি ৪টি আম গাছে ফলন আসছে।
তিনি জানান-প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে আম গাছটি দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ মাদরাসায় আসছেন।
তিনি আরো জানান, ওই চারটি আম গাছের আম বিক্রি করা হয় না। এই আমগুলো মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও আগত লোকজনের মাঝে বিলি করা হয়। এছাড়াও যেহেতু বারোমাসই আম থাকে সে ক্ষেত্রে অসুস্থ ও রোগীর আত্মীয়-স্বজন এসেও বিনামূল্যে আম নিয়ে যান। ওই আম গাছের আম দেশ-বিদেশের ও নামকরা সরকারি-বেসরকারি লোকজনকে দেওয়া হয়েছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন