কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় আয়রন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ উন্নত জাত বিনাধান-২০ এর সোনালি বিপ্লব

461

SAM_2783

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট (বিনা) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সদর দক্ষিণ, কমিল্লার যৌথ উদ্যোগে ‘‘পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উন্নয়ন কর্মসূচি’’ এর অর্থায়নে জিঙ্ক ও আয়রন সমৃদ্ধ উন্নত জাত বিনাধান-২০ এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় দক্ষিণ রামপুর গ্রামে, কৃষক মো. আইয়ুব মজুমদারের জমিতে প্রদর্শনী করা হয়।

এ ধানের উপকারিতা, পুষ্টি পরিচিতি, চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে স্থানীয় কৃষক কৃষাণীদের অবহিত করার উদ্দেশ্যে ১১ ডিসেম্বর শষ্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

মাঠ দিবসে কৃষক আইয়ুব মজুমদার উপস্থিত কর্মকর্তা ও কৃষক-কৃষাণীদের বলেন-আমার জমিতে বিনাধান-২০ কর্তন করে হেক্টর প্রতি ৪.৯৮ টন ফলন পেয়েছে। আমি মনে করি আমার জমিতে সোনালি বিপ্লব হয়েছে।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট। তিনি বলেন, বিনাধান-২০ আমন মৌসুমে চাষাবাদ উপযোগী একটি নতুন জাত। এতে ২৬.৫ পিপিএম জিঙ্ক এবং ২০-৩০ পিপিএম আয়রন বিদ্যমান। এধানের জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন। আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় চালের রং লালচে রঙ্গের এবং চাল চিকন। এ জাতটি পোকা ও রোগ সহনশীল জাত বিশেষ করে বাদামী গাছ ফড়িং মধ্যম মাত্রায় প্রতিরোধী। তাই এ জাতের ধান চাষ করে সহজেই পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।SAM_2792

সভাপতি হিসেবে প্রযুক্তিগত বক্তব্য রাখেন, কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ সিফাতে রাব্বানা খানম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার; কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা মন্ডল; কৃষিবিদ আব্দুর রাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- মো. আরিফুজ্জামান মৃধা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সংবাদদাতা: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন