চট্টগ্রামে ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে অ্যাডভোকেসি সভা

300

পোল্ট্রিুা

খাদ্যে ভেজাল রোধ, সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাসহ ভোক্তা অধিকার (অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপদ সড়ক) বিষয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী ইশতেহারে উপেক্ষিত হলেও মানুষ প্রতিনিয়তই এ ধরনের সমস্যায় জর্জরিত ও নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় নাগরিকদের এ সমস্ত দাবি আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। একই সাথে তৃণমূল পর্যায়ে আমিষের মূল যোগানদাতা পোল্ট্রি মাংসের মান নিশ্চিতে খামারী, পোল্ট্রি ফিড বিক্রিতে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই ও ক্যাব সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে যৌথ মনিটরিং ও তদারকি জোরদার করা হবে।

পোল্ট্রি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্ঠিকল্পে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, সিটিকর্পোরেশনের ওয়ার্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের খুলসীস্থ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসি সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সভা

ইউকে এইড, বৃটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় প্রকাশ প্রকল্পের কারিগরি সহযোগিতায় পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম, আলোচনায় অংশ নেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, থানা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভুষণ দাশ, ডা. জাকিয়া আকতার, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব চট্টগ্রাম নগর সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব পাঁচলাইশের সায়মা হক, সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্ষুদ্র খামারী মো. মোসলেম উদ্দীন, রুখসানা আখতারুন্নবী, মোহাম্মদ যোবায়ের, পোল্ট্রি খাদ্য আড়তদার আবদুর রহমান, ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খাদ্য বিক্রেতা মো. নরুল ইসলাম, মুরগি বিক্রেতা তাসনুর বেগম ও ক্যাব আইবিপি প্রকল্পের মাঠ সমন্বয়কারী জগদীস চন্দ্র রয় প্রমুখ।

সভায় নিরাপদ খাদ্য বিশেষ করে পোল্ট্রি মাংস ও ডিম বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, খামারী, খাদ্য বিক্রেতা, মুরগি বিক্রেতা পর্যায়ে আরও সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা, ঘোষণা দিয়ে গরু, ভেড়া, মহিষের মাংস বিক্রিতে মডেল বিক্রেতা তৈরিতে উৎসাহিত করা, খুচরা মুরগি বিক্রিতে স্বাস্থ্যসম্মত মডেল বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত করাসহ বাজারে মুরগি বিক্রিতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেবার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এছাড়াও পোল্ট্রি সেক্টরে নিরাপদ পোল্ট্রি খাদ্য নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমাণ আদালত, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বাজার তদারকি আরও জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন