গাজীপুর : ব্রি ধান ৮৮ ও ব্রি ধান ৮৯ । উদ্ভাবন হলো বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী আরো দুটি নতুন উচ্চ ফলনশীল (উপশী) ধানের জাত।
উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ব্রি ধান ৮৮ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ফলন হেক্টরে ৮.৮ টন পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
এটি বোরো মৌসুমের স্বল্পমেয়াদি একটি জাত। এতে আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া এবং লম্বা। ধানের দানা অনেকটা ব্রি ধান২৯ এর মতো তবে সামান্য চিকন। পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১০০ সে. মি.। এ জাতের জীবনকাল ১৪০- ১৪৩ দিন। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২২.১ গ্রাম। পাকা ধানের রং খড়ের মতো। চালের আকার মাঝারি চিকন ও ভাত ঝরঝরে। এটিকে ব্রি ধান২৮ এর পরিপূরক জাত হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এ ধানে ভাত ঝরঝরে করার উপাদান অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৬.৩%।
ব্রি ধান৮৮ এর জীবনকাল বি ধান২৮ এর চেয়ে ৩-৪ দিন আগাম। এ জাত ঢলে পড়া প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন। এ জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম।
ব্রি ধান ৮৯এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৮ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যায় এ জাত হেক্টর প্রতি ৯.৭ টন ফলন দিতে সক্ষম।
এ জাতটির জীবনকাল ১৫৪ থেকে ১৫৮ দিন। এই চালের ভাত ঝরঝরে এবং সুস্বাদু।এ জাতকে ব্রি ধান২৯ এর পরিপূরক হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এ জাতের পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০৬ সে. মি.। কান্ড শক্ত, পাতা হালকা সবুজ এবং ডিগ পাতা চওড়া। ধানের ছড়া লম্বা এবং পাকার সময় কান্ড ও পাতা সবুজ থাকে। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৪.৪ গ্রাম। এ ধানে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৮.৫%।
এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় নতুন জাত দুটি অনুমোদন পেয়েছে। সভায় ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বীজ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, নতুন জাত দুটি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় হবে এবং সামগ্রিকভাবে ধান উৎপাদন বাড়বে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন