ছোট পরিসরে দুগ্ধ খামার স্থাপনের জন্য বসতবাড়ির অপেক্ষাকৃত নির্জন জায়গাই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যখন বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ডেইরি ফার্ম ব্যবসা শুরু করবেন তখন পরিকল্পনা করেই স্থান নির্বাচন করতে হবে। তাই সফলভাবে দুগ্ধ খামার স্থাপনের জন্য নিন্মোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করতে হবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
একটি ডেইরি খামারের জন্য ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন। দুগ্ধ খামার স্থাপনের জন্য এমন জায়গা নির্ধারণ করতে হবে যাতে আপনি সহজেই একটি ভ্যানগাড়ি প্রবেশ করাতে পারেন। তবে প্রধান রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে হওয়া ভালো।
জমি নির্বাচন:
অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যে জমি পাওয়া যাবে একরম জমি নিতে হবে। তুলনামূলক উর্বর জমি রেখে অনুর্বর জমি বেছে নিতে হবে। ভবিষ্যতে খামারের আকার বাড়ানো যাবে আশে পাশে এরকম স্থান থাকতে হবে।
গরুর ঘর:
দুগ্ধ খামার স্থাপনের জন্য গরুর ঘর এমনভাবে বানাতে হবে যেন প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস পাওয়া যায়। ঘর সাধারণত পূর্ব-পশ্চিম লম্বা-লম্বি হলে ভালো হয়। গবাদি পশুর বাসস্থান পরিকল্পনা করে করতে হবে যাতে পরবর্তীতে খামার বড় করলে মূল কাঠামো ঠিক থাকে।
উঁচু ও শুষ্ক স্থান:
অপেক্ষাকৃত উঁচু ও শুষ্ক স্থান নির্বাচন করতে হবে যাতে বৃষ্টি বা জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে না পারে। উঁচু জমি না পেলে মাটি বা বালি ফেলে জমি ভরাট করে নিতে হবে।
আরো যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন:
খামারে অবশ্যই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। আলো ও অতিরিক্ত গরমে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
খামার জনবসতি থেকে দূরে স্থাপন করা ভালো তবে অনেক বেশি দূরে যেন না হয়। সহজে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা যাবে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
আপনি যেই এলাকায় দুগ্ধ খামার স্থাপন করতে চাচ্ছেন সেখানে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
সহজে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। একটি গরুর খামারে অনেক পানির প্রয়োজন হয়। সেই ক্ষেত্রে পানির লাইন টেনে নিতে হবে। তাছাড়া পশুকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
বন্য জীবজন্তু কিংবা অবাঞ্ছিত লোকজনের দ্বারা খামার ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই রকম স্থান বাছাই করতে হবে। খামারের আশেপাশে জলাভূমি, বিল বা হাওড় না থাকাই ভালো।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন