হাঁসের খামার একটি লাভজনক ব্যবসা, কিন্তু কতটা লাভ করতে পারবেন তা নির্ভর করে হাঁসের খাবার ব্যবস্থপনায় আপনি কতটা পারদর্শী। আমরা এর আগেই কেন হাঁসের খামার ব্যবসা করবেন, উন্নত জাতের হাঁস কি কি, কিভাবে হাঁসের থাকার ঘর বানাবেন তা জেনেছি। আজকে আমরা হাঁসের খামারে খাবারের গুরুত্ব ও কীভাবে সহজেই সঠিক মান ঠিক রেখে খাবার বানাবেন তা জানব।
হাঁস কি খেতে বেশি পছন্দ করে?
হাঁস সব সময় তাড়াহুড়া করে খাবার খায়। হাঁসকে এমন মিশ্র খাবার দেওয়া উচিত যা শেষ করতে ওদের সময় বেশি লাগে না। ঘনীভূত খাবার না দিয়ে বিকল্প খাদ্য হিসাবে প্রচুর পরিমাণে সবুজ তৃণ জাতীয় খাবার যেমন গম, ভুষি, চাল, চালের কুড়া মিশিয়ে আদর্শ খাবার বানানো যেতে পারে।
শামুক হাঁসের অন্যতম প্রিয় খাদ্যের একটি। খৈল ও মাছের গুঁড়ো হাঁস বেশ পছন্দ করে। দানা অথবা মিশ্র খাদ্য যা কিছু হাঁসকে খেতে দেওয়া হোক না কেন সব কিছু আগ থেকে পানিতে কিছু ক্ষন গরম করে হাঁসকে খেতে দেওয়া উচিত।
খাদ্য কখনও মাটিতে বিছিয়ে দেওয়া যাবে না কারণ ওদের ঠোঁট চ্যাপ্টা বিধায় খেতে পারে না। হাঁস সাধারণত খাবার চুষে খায় তাই হাঁসের খাবার নরম ও পাতলা হওয়া উচিত।
প্রতিদিন একটি হাঁস প্রায় ১৪০ গ্রাম খাবার খায়। খোলা অবস্থায় হাঁস পালন করলে হাঁস ওদের খাবার ৭০ ভাগ পর্যন্ত নিজেরাই খুঁজে খায়। একবেলা খাবার দিলেই হয়।
কীভাবে হাঁসের খাবার তৈরি করবেন
মানুষের খাদ্যের মতো হাঁস মুরগির খাদ্যেও ৬টি উপাদান রয়েছে। যেমন আমিষ, শর্করা, তৈল, খনিজ লবন, ভিটামিন ও পানি।
খাদ্যের প্রধান উৎস নিম্নরূপ:
আমিষ – মাছের গুড়া, শামুক, ঝিনুকের ভিতরের অংশ।
শর্করা – গম, ধান, চাউলের কুড়া, গমের ভুষি।
তৈল – সরিষা, খৈল।
লবল শতকরা ০.৫ ভাগ।
ক্যালসিয়াম অস্থি গঠন ও ডিমের খোসা বানানোর জন্য প্রয়োজন।
ভিটামিন- গুড়া ভিটামিন যেমন এম্বাভিট, সবুজ শাক, সুগারফেক, মাছের তৈল।
হাঁসের খাবার তৈরির সঠিক নিয়ম
১. গম – ৪০%
২. গমের ভুষি- ১৫%
৩. চাউলের কুড়া – ১২%
৪. তিলের খৈল – ২০%
৫. মাছের গুড়া- ৫%
৬. ঝিনুক চূর্ণ- ৭.২৫%
৭. লবন – ০.৫০%
৮। ভিটামিন – ০.২৫%
মোট ১০০ ভাগের মিশ্রন।
সব সময় বন্ধ খামারে হাঁস পালন করলে এই ফর্মুলায় খাবার দিবেন এবং যদি ছাড়া অবস্থায় হাঁস পালন করেন তবে প্রয়োজন মতো গমের ভুষি, চাউলের কুড়া, ক্ষুদ চাউল দিলেই হবে। সূত্র: অন্তর্জাল।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন