[metaslider id=”13341″]
কামরুজ্জামান সেলিম, চুয়াডাঙ্গা থেকে: চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো বিটরুট চাষ করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এবারই প্রথম বিদেশি জাতের এ সবজি আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের শিক্ষিত যুবক মোকাররম হোসেন।
ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করে তিনি এ সবজির আবাদ করেন। সময়মত ফল পাওয়া, বাজারে চাহিদা ও সহজে বাজারজাত করায় বেশ খুশি বিটরুট চাষি।
বিটরুট চাষি মোকাররম হোসেন জানান, “ব্যবসার কারনে ভারত, থাইল্যা- ও মালয়েশিয়া ভ্রমন করার সুযোগ হয় তার। সেখানে খাবার হোটেল গুলোতে বিট রুট সবজি খেয়ে খুব ভাল লাগে। সে কারনে ভারতে এক রেস্তরায় আলাপ হয় রেস্তোরাঁ মালিকের সাথে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে বাংলাদেশে এ চাষ সম্ভব কিনা? তারা জানায় সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে লাগালেই বিটরুট চাষ করা যাবে।
অনেকটা শখের বশে ভারত থেকে বিদেশি সবজি বিটরুট এর বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। তারপর বাণিজ্যিকভিত্তিতে তার নিজস্ব ৮ বিঘা জমিতে বীজ বপন ও পরিচর্যা শুরু করেন।
বীজ বপনের ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফল বিক্রি উপযুক্ত হয়। সে ফল আমদানি করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। বড় শহরে চাহিদার তুলনায় দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
যেহেতু প্রথমবারের মতো এ জাতের সবজির আবাদ করা হয়েছিল সেহেতু কিছুটা আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সবজি উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায় এবারেই। স্থানীয় বাজারে তেমন একটা পরিচিতি না থাকলে ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে এর চাহিদা অনেক। তাই বাজারদামও বেশ ভালো পাওয়া যায়। প্রতি বিঘা বিটরুট চাষে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। সেখানে প্রতি বিঘা বিটরুট চাষে লাভ হয় ৬০-৬৫ হাজার টাকা।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বীজ বপনের পর থেকেই শুরু হয় পরিচর্যা। তবে কীটনাশক ও বিষ প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়েনা। যার কারণে উৎপাদন খরচও কিছুটা কমে যায়। উৎপাদিত এ সবজি বিভিন্নভাবে খাবার হিসেবে গ্রহন করা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারকে জানান, বিটরুট চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামীতে এ চাষে কৃষকদেরকে আগ্রহ করে তুলতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। এ রকম চাষে শিক্ষিত যুবকরা কৃষিতে আগ্রহী হলে কৃষি শিল্পে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা এ কর্মকর্তার।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন