আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা গরু বা মুরগি পালন করতে চাই, কিন্তু ছাগল পালন করতে চাই না। অনেকে সেই পুরনো চিন্তাভাবনা পোষণ করে আছেন যে ছাগলের মরক লাগলে রক্ষা করা কঠিন। সময় বদলিয়েছে। সেই ধারণা থেকে বের হয়ে এসে ছাগল পালন করে সাফল্য লাভ সম্ভব । এরকম অন্তত ১৩টি কারণ জেনে নিন আর ছাগল পালন করে লাভবান হন।
১. অল্প টাকা দিয়ে ছাগল পালন ব্যবসা শুরু করা যায়। আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েই বাণিজ্যিক ভাবে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
২. ছাত্র ও নারীরা সহজেই এই ব্যবসা করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।
৩. যেহেতু ছাগল আকারে ছোট তাই অল্প জায়গায় খুব সহজে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
৪. ছাগল গরুর মতো শান্ত প্রাণি বিধায় দেখাশুনা করার জন্য বেশি লোকবল দরকার হয়। যদি না অদিক পরিমাণ ছাগল এক সাথে পালন না করা হয়। ৪০টি ছাগল এর জন্য ১ জন লোকই যথেস্ট।
৫. একটি ছাগী থেকে একবারে ৩টির বেশি বাচ্চা পাওয়া যায় এবং প্রতি বছর যেতে না যেতে তারা বাচ্চা প্রসব করতে সক্ষম। যা গরুর বেলায় ঘটে না। যা একজন ছাগল খামারীর জন্য লাভজনক।
৬. ছাগল বা ছাগীর চাহিদা বাজারে প্রায় একই রকম থাকায় ছাগল পালন ব্যবসা অধিক লাভজনক ব্যবসা।
৭. ছাগলের দুধ ও মাংসে ক্লোলেস্ট্রেরল খুবই কম থাকায় সহজেই হজম হয়।
৮. বাণিজ্যিকভাবে ছাগল পালন করে যেমনি আপনি লাভবান হবেন এবং কিছু লোকের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে পারেন। যা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক।
৯. ছাগল থাকার স্থান কোন বিশেষ উপায়ে বানারে হয় না বিধায় খুব সহজেই ছাগল পালন ব্যবসা করতে পারেন।
১০. তুলনামূলক ছাগলের রোগ বালাই কম হয়, তাই ঝুঁকি কম থাকে।
১১. অন্য প্রাণি যেমন-গরুর সাথে ছাগল পালন করতে পারেন, তবে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. মোটামুটি যেকোন বিরূপ আবহাওয়া এর মধ্যে ছাগল পালন করা যায়।
১৩. ছাগল খাবার যে কোন ব্যবসা (গরু, হাঁস-মুরগি পালন) এর থেকে অনেকগুণ কম লাগে, তাই অধিক লাভ করা সম্ভব।
পরিশেষে বলা যায় যে, আপনি চাইলে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে, গ্রাম বা শহরে ছাগল পালন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বেকার না থেকে শুরু করুন আর স্বাবলম্বী হন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন