‘প্রিমিক্সের মানের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করতে পারবো’

369

[metaslider id=”13482″]

সাশ্রয়ী মূল্যে সঠিক সময়ে প্রিমিক্সের মানের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করতে পারবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা ফিড এডিটিভস্ বাজারজাতকারী কোম্পানি কাজী এগ্রো ও বেস্টমিক্স বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আবু সাঈদ।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়ায় স্থাপিত বেস্টমিক্স বিডি লি. কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “দেশে ফিড উৎপাদনে প্রতি বছর প্রয়োজন হয় প্রায় ১২ হাজার টনের মতো ভিটামিন-মিনারেল ফিড প্রিমিক্স। যার সিংহভাগই আমদানি করতে হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশ থেকে চলে যায়। টাকার অংকে যার পরিমাণ প্রায় ৭শ ২০ কোটি টাকার মতো। এর অর্ধেক বাজারও যদি দেশীয় উৎপাদক শিল্প প্রতিষ্ঠান মেটাতে পারে তবে নিঃসন্দেহে তা হবে দেশের কৃষি অর্থনীতি তথা মূল অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধরনের সুখবর।”

তিনি আরো জানান, প্রতি মাসে ৩ হাজার টন উৎপাদনক্ষম ইউরোপ-আমেরিকারসহ উন্নত বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়া এবং সর্বোচ্চ মানের নিশ্চয়তা নিয়ে আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই উৎপাদনে আসছে এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি বলেন, “গ্রাহকদের কাছ থেকে চাহিদা পাওয়ার পর থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেইে পণ্য সরবরাহ করা যাবে।”

কাজী সাঈদ আরো জানান, বেস্টমিক্স বিডি লি. হলো দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রিমিক্স উৎপাদনের পথিকৃৎ সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ও সর্বপ্রকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন সুইস প্রযুক্তি নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। তার বাবার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতেই এলাকাতে স্থাপন করতে আগ্রহী হন তিনি।

ভিন্ন ধারার এবং ভিন্ন আঙ্গিকে শিল্প স্থাপন করার জন্য তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ৯টি খ্যাতনামা প্রিমিক্স প্লান্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তিনি।

বাস্তব অভিজ্ঞতা তাকে এ ধরনের শিল্পটি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “দেশের ফিড মিল, ব্রিডারফার্মগুলি সবসময় মানসম্পন্ন প্রিমিক্স ব্যবহার করে থাকে। এসব প্রিমিক্সের মান অটুট রাখতে হলে প্রয়োজন ফ্রেশ ভিটামিনের। যেহেতু এর মান খুব দ্রুত হ্রাস পায়। তাই সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকে প্রিমিক্স আমদানি করতে পোর্ট থেকে শুরু করে, কাস্টমস্, পরিবহন ইত্যাদি নানা কারণে ন্যূনতম ৪৫ দিন সময় লাগে। এতে গুণগত মান কিছুটা হ্রাস পায়।

অন্যদিকে ফিডমিল উদ্যোক্তাদের বাড়তি ১৫-২০% খরচ হয় যা ফিড উৎপাদনের ব্যয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অনেকে ২শ থেকে ৫শ কেজি কাস্টমাইজ প্রিমিক্স চাইলেও কিনতে পারেন না।”

এসব বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে তারা সঠিক সময়ে প্রিমিক্সের মানের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান কাজী সাঈদ।

কাজী সাঈদ বলেন, “প্রিমিক্স প্লান্টের সাথে ল্যাব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ কারণেই এখানে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক এইচপিএলসি ল্যাব। এ ছাড়াও একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়্যারহাউজের পাশাপাশি রয়েছে বারকোডিং সিস্টেমের সর্বশেষ প্রযুক্তি।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশের পোল্ট্রি, ফিস ও লাইভস্টক বিষয়ক মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা। তারা বলেন, ফিড এডিটিভস্ বাজারজাত করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে কাজী এগ্রো। এবার বেস্টমিক্স বিডি লি. এর ভিটামিন-মিনারেল ফিড প্রিমিক্সও মানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আশা রাখছি।

দেশে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার সাহসী ভূমিকা গ্রহণ করায় মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা অভিনন্দন জানান বেস্টমিক্স বিডি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আবু সাঈদকে।

তারা মনে করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সরকারের নীতিনির্ধারক সংশ্লিষ্ট মহল বেস্টমিক্স বিডি লিমিটেডকে আরো সহযোগিতা দিয়ে কৃষিভিত্তিক এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/শফিকুল ইসলাম/মোমিন