বর্তমানে ব্রাহমা জাতের গরু দেশের মাংসের চাহিদার ঘাটতি অনেকাটাই পূরণ করেছে। বাংলাদেশের বাগেরহাট, টাঙ্গাইলে ব্রাহমা গরু পালন করা হচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ ব্রাহমা গরু পালনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কম খরচে লাভবান হতে এখন ব্রাহমা গরুই ভরসা।
ব্রাহমা গরু রোগ প্রতিরোধী। এ জাতের গরুর জীবনকাল ২৫-২৯ বছর। তবে ৪৭ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার রেকর্ড আছে। ২ বছর বয়সী ব্রাহমা জাতের গরু ৮০০-১০০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম। দেশি গরুতে এ সময়ে সর্বোচ্চ ৪০ কেজি মাংস হতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ জাতের গরু ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও স্বাভাবিক আচরণ ও খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। অন্যান্য জাতের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন এই গরুর মাংসে চর্বির পরিমাণও কম। এই গরু নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
জানা যায়, ব্রাহমা বাছুরের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। দেশীয় গরুর ওজন প্রতিদিন ২০০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত বাড়ে। আর ব্রাহমা গরুর প্রতিদিন প্রায় ১ কেজির মতোও ওজন বাড়তে পারে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ব্রাহমা গরুর জন্য উপযোগী।
ব্রাহমা ছোট বাছুরকে মায়ের দুধের পাশাপাশি কিছুদিন পর দানাদার খাবার দেওয়া যায়। দেশের প্রায় শতাধিক খামারি ব্রাহমা পালন করে লাভের মুখ দেখেছে। ২০০টির মতো ব্রাহমা জাতের বাছুর জন্ম নিয়েছে বলে জানা যায়। এই গরুতে দেশি গরুর চেয়ে তিনগুণ বেশি মাংস হয়। তিন-সাড়ে তিন বছরের একটি ব্রাহমা ষাঁড়ের ওজন হয় ১ হাজার কেজি। যার আনুমানিক মূল্য হতে পারে ১২-১৩ লাখ টাকা।
খামারিরা জানান, এ গরু পালন করে তারা খুবই খুশি। দেশি গরুর মতো এরা সবকিছুই খায়। এগুলো পালন করা খুবই লাভজনক মনে হচ্ছে।
আপনারা যারা গরুর খামারের কথা ভাবতেছেন তারা এই ব্রাহামা জাতের গরু দিয়ে শুরু করতে পারেন। আর এতে অধিক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। যদি সঠিক পদ্ধতিতে খামার করেন তো আপনি সফল হবেনই।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন