ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ইস্তেফাপুর গ্রামে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের ‘ডেলিভারি অব হাই জিংক রাইস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা হিসেবে স্থানীয় এনজিও উন্নয়ন ধারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন ধারার সমন্বয়কারী হায়দার আলী, পিপলস্ কালচার সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া, রিজিয়া সুলতানা এবং উন্নয়ন ধারার হারভেস্ট প্রকল্পের সমন্বয়কারী কৃষিবিদ কৃষ্ণ দাস সাহা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিরুজ্জামান এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং কৃষাণ-কৃষাণীরা।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয় করেন হারভেস্ট প্লাস প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানভীর আহম্মেদ রনি।
উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষক বদিরুজ্জামান-এর চলতি বোরো মৌসুমে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের ক্রপ কাটিং করা হয় এবং শুকনো অবস্থায় ৮.৮২ টন/হেক্টর ফলন রেকর্ড করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী কৃষাণ-কৃষাণীরা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এবং প্রদর্শনী কৃষককে পুরষ্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন যে, বাংলাদেশের আজকাল মা ও শিশুদের মধ্যে জিংকের ব্যাপক অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অভাবে শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়, বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি যেমন- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পরিণামে শিশুদের অকাল মৃত্যুসহ বুদ্ধিমত্তা হ্রাসের ঝুঁকি বাড়ায় যা স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি বিনির্মাণে বিরাট অন্তরায়। জিংকের অভাব দূর করার ক্ষেত্রে জিংক সমৃদ্ধ ধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের পুষ্টির অভাবে ভোগা মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে উপস্থিত সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদদাতা: কৃষিবিদ কৃষ্ণ দাস সাহা, প্রকল্প সমন্বয়কারী, হারভেস্ট প্রকল্প, উন্নয়ন ধারা, ঝিনাইদহ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন