প্রান্ত রনি, রাঙামাটি থেকে: রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে বলে জানিয়েছেন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, কাপ্তাই হ্রদে ছোট মাছের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন কমেছে। চিতল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখন এ হ্রদে নেই বললেই চলে। এসব বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ হ্রদ বিএফডিসির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যই কেবল নয়, এটি একটি মাছের ভারসাম্য রক্ষার জলাধারও।
বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটি কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) দিলদার আহমদ, বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহামুদ প্রমুখ।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই হ্রদে চাপিলা ও কাঁচকি মাছের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যেকোনো জলাধারে চাপিলা ও কেঁচকি মাছ বেড়ে গেলে সেখানে বড় মাছ কমে যাবে।
তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদ একটি বিশাল জলাধার, এটি বাংলাদেশের সম্পদ। তাই এ কাপ্তাই হ্রদকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ কাপ্তাই হ্রদ যদি ধ্বংস হয়ে যায়, পানির প্রবাহ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের মাটির নিচের পানির স্তর আরো নিচে নেমে যাবে এবং ওই পানিতে আয়রন, আর্সেনিকের উপস্থিতিতে আমাদের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ বলেন, আগে আমরা ১ কোটি টাকার পোনা ক্রয় করে এ হ্রদে ছাড়তাম। কিন্তু চলতি বছর আমরা এই প্রথম নিজস্ব উৎপাদিত পোনা হ্রদে ছাড়লাম।
বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহামুদ বলেন, ৬৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জলাশয় আছে এ কাপ্তাই হ্রদে। কিন্তু উৎপাদনের দিক দিয়ে কাপ্তাই হ্রদ অনেকটা পিছিয়ে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন