বাকৃবি থেকে: প্রাণিদেহে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এর বিকল্প হিসেবে কৃষকরা মাছ চাষে প্রোবায়োটিক ব্যবহার শুরু করে। প্রোবায়োটিক হলো কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। কিন্তু দেশে ব্যবহৃত সেই প্রোবায়োটিকেও মিলছে ভেজাল। ওই সব ভেজাল প্রোবায়োটিক ব্যবহার করা মাছ খেলে হতে পারে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য রোগ।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অতিথি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গবেষকরা এসব তথ্য জানান।
যুক্তরাজ্যের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ফ্রান্সিস মুরে বলেন, ‘প্রোবায়োটিক অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ক্ষতিকর নয়। তবে গবেষণায় বাংলাদেশের বাজারে প্রাপ্ত প্রোবায়োটিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু পাওয়া গেছে। আর বাংলাদেশে এই ভেজাল প্রোবায়োটিককে চিহ্নিত করার মতো কৃষকপর্যায়ে কোনো ব্যবস্থাও নেই। ভেজাল প্রোবায়োটিক ব্যবহৃত মাছ খেয়ে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এসব কারণেই কৃষকপর্যায়ে সঠিক প্রোবায়োটিক চিহ্নিত করার উপায় এবং সরকারের একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়ে গবেষণা করছি আমরা।’
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন