রোববার থেকে কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু

311

কৃষিশুমারি
কৃষি শুমারি ২০১৯ এর মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ সময় শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে সারা দেশে শহর ও পল্লি এলাকায় ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৮’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই কৃষি শুমারি পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এটি দেশব্যাপী বৃহৎ আকারে পরিচালিত অন্যতম পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। প্রতি ১০ বছর অন্তর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।

আজ রোববার শুরু হয়ে ২০ জুন পর্যন্ত সময়ে মাঠ পর্যায়ে শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাফর আহাম্মদ খান এ বিষয়ে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ছয়টি প্রধান ফসল যেমন- আউশ, আমন, বোরো, গম, আলু ও পাট ফসলের হিসাব এবং ১২০টি অপ্রধান ফসলের হিসাব প্রস্তুত করছে। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি কৃষিতে ব্যাপক বৈচিত্র্য এনেছে, উদ্ভাবন হয়েছে নতুন ফল এবং ফসলের জাত। কৃষি শুমারি-২০১৯ এর মাধ্যমে বর্তমান ১২৬ ফসলের হিসাবের পাশাপাশি নব-উদ্ভাবিত ফল ও ফসলের হিসাব পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ‘এ শুমারিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শুমারিতে সংগৃহীত মৎস্য খাতের তথ্যাদি এ খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ ছাড়াও, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রাপ্ত তথ্যাদি এ খাতকে আরো সমৃদ্ধ করবে। অতীতের কৃষি শুমারিতে শুধু অস্থায়ী ফসলের তথ্য নেওয়া হতো। এই কৃষি শুমারিতে অস্থায়ী ফসলের পাশাপাশি স্থায়ী ফসলের তথ্যাদি যেমন বনজ এবং ফলদ বৃক্ষ ও এর উৎপাদন সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে। ’

জানা গেছে, কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালিত হবে দেশের সকল খানায় এবং কৃষি বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক খানায়। এ শুমারিতে ডেজুইর  (সচরাচর যে খানায় যে বসবাস করে, তাকে সেই খানায় গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা)  পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথমত, দেশের শহর ও পল্লি এলাকায় একইসাথে এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খানায় শুমারি বা জরিপ পরিচালনা করা হবে।

অতীতের মতো ২০১৯ এর কৃষি শুমারিতে মূল শুমারির পরপরই শুমারি পরবর্তী যাচাই (পিইসি) পরিচালনা করা হবে।

কৃষি শুমারি ২০১৯ এর মূল কার্যক্রমে নিয়োজিত জনবলের মধ্যে রয়েছে- একজন করে প্রধান শুমারি সমন্বয়কারী, জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী এবং অতিরিক্ত জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ১০ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ৯০ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ডিসিসি), ৪৯২ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ইউসিসি), ২ হাজার ১২৭ জন জোনাল অফিসার এবং ২৩ হাজার ১৬৫ জন সুপারভাইজার। এই শুমারিতে তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে কাজ করবে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২১১ জন।

শুমারির কার্যক্রম প্রচারণার লক্ষ্যে রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনের সামনে রাস্তায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শোভাযাত্রায় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন