খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প-২য় পর্যায় এর আওতায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায়, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, উপকেন্দ্র কুমিল্লা এর প্রশিক্ষণ হলে গত ১২ জুন আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি প্রধান আমাদের এ বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার অন্যতম মাধ্যম হলো কৃষি ক্ষেত্র। কালের বিবর্তনে দেশের বিপুল পরিমান জনবল কর্মসংস্থানের জন্য ভিনদেশে পাড়ি জমান। তাই প্রতি বছরই কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে ফসলের কাঙ্খিত উৎপাদনের জন্য এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস করার জন্য খামার যান্ত্রিকীকরণ জরুরি। এসব বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করাই কর্মশালার উদ্দেশ্য, এতে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক, কৃষক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন- কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। প্রধান অতিথি বলেন, উন্নত প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমাদের ফলন বৃদ্ধি করতে হবে। কারন ফলন বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হলে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানী করতে হবে। এত করে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু ফসলে আমাদের কৃষক ভাইয়েরা বাজার মূল্য কম পেয়ে থাকেন। অন্য দিকে এসব ফসলে উৎপাদন খরচ বেশি হয়। এসব বিষয়ে নিরুৎসাহিত না হয়ে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন নিশ্চিত হলে অবশ্যই যে কোন কৃষক আর্থিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারবে বলে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
প্রধান অতিথি কুমিল্লাকে আধুনিক কৃষির রোল মডেল হিসেবে বলতে গিয়ে বিশ্বের মাঝে আলোচিত কৃষক সংগঠন ‘দিদার সমিতির’ উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি একই দিনে-ডিএই অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্রগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর আয়োতায়, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিন দিনব্যাপী টিওটি প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন-কৃষিবিদ মো. নুরুল হক, পরিচালক, পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা; শেখ মো. নাজিম উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক, খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প-২য় পর্যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। সভাপতিত্ত্ব করেন- কৃষিবিদ শ্রীনিবাস দেবনাথ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চল।
খামার যান্ত্রিকীকরণ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন- ডিএই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপপরিচালক, কৃষিবিদ মো. আবু নাছের; ডিএই, কুমিল্লা জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল হাসেম; ডিএই, চাঁদপুর জেলার উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ নয়ন মনি সূত্র ধর এবং কৃষিবিদ দিলরুবা খানম।
সংবাদদাতা: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন