কথাটা বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্য যে, একেকটি আমের ওজন চার কেজিরও বেশি। ব্রুনাই কিং নামের এই আম ফলছেও বাংলাদেশে। তবে এই জাতের আমটি পাকতে সময় লাগে। আষাঢ়ের পরে শ্রাবণ মাসের শেষদিকে পাকা শুরু করবে এই আম। ওজনে যেমন বেশি তেমনি এটি খেতেও সুস্বাদু।
জানা যায়, ২০১১ সালে ব্রুনাই রাজপরিবার থেকে ‘ব্রুনাই কিং’ নামের বিশাল আকৃতির আমের জাতটি সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে মাগুরার শালিখার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান এই জাতের আমের চাষ করছেন। কলম পদ্ধতির মাধ্যমে এ জাতের পাঁচ শতাধিক চারা তৈরি করেছেন তিনি।। প্রতিটি চারা ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
‘ব্রুনাই কিং’ আমের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- এ জাতের আম গাছের উচ্চতা ৮-১০ ফুট; বৈশাখ-আষাঢ় মাসের মধ্যে এ জাতের চারা রোপণ করতে হয়, চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যেই আম ধরে; শ্রাবণের শেষদিকে আম পাকে; প্রতিটি আমের ওজন সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার কেজি; প্রতিটি আম আঁশমুক্ত, মিষ্টি ও সুস্বাদু।
এছাড়াও দেখতে অনেকটা কলার মতো লম্বা হয়ে থাকে। কাঁচা আম খেতে কিছুটা টক, মিষ্টি স্বাদ। কাঁচা আমের রং হয়ে থাকে কালচে সবুজ। পাকা আমের স্বাদ অনেকটা ফজলি আমের মতো। আমের আঁটি (বিচি) একদম ছোট এবং মাতৃগাছে প্রতিবছর ২০-৩০টি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে।
এই আমটি আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে কলম নিয়ে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে রোপণ করা হয়েছে। সেখানে কলম লাগানো গাছ আছে, যা থেকে সংক্রায়নের মাধ্যমে নতুন চারা তৈরি করে তা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেলার উপজেলা কৃষি অফিস, সিরাজদিখানে যোগাযোগ করলেও এ জাতের আমের চারা পাওয়া যাবে। সূত্র: ডি টি
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন