কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গোবাদিপশু প্রবেশ নিষেধ

344

গরু
দেশ মাংসে সয়ংসম্পন্নতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আগে প্রতি বছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে। তবে এবার দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। এতে সীমান্তে গবাদিপশুর প্রবেশ বন্ধ রাখাসহ ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরূপণ, কোরবানির হাট-বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশু ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাই রোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়। গত বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ।

সভায় আরও জানানো হয়, আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাট-বাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারেও কাজ করবে দুটি করে ভেটেরিনারি টিম। এবার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাট বসবে। স্বাস্থ্যহানিকর স্টরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধদিফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবষেণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্নি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন