চার জেলায় পানির নিচে ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল

434

ফসল-ক্ষতি
বন্যাকবলিত জামালপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ৬০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল। কয়েকহাজার পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ হলেও ত্রাণের অপ্রতুলতায় অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

বিশুদ্ধ পানির অভাব, গো-খাদ্য সংকট বন্যার্তদের দুর্ভোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বেড়েছে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। গতকাল বন্যায় সাত শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানি হ্রাস অব্যাহত থাকলেও গতকাল দেশের নদ-নদীর ২১টি পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ইত্তেফাকের আঞ্চলিক অফিস, জেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা ও পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই। মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও সিলেট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যার পানি কমতে থাকায় কৃষকের মধ্যে ফসল হারানোর কষ্ট বাড়তে শুরু করেছে।

গাইবান্ধায় তলিয়ে গেছে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল। এ জেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে পাউবোর বাঁধে, সড়কে, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে ও নৌকায় এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে।

বন্যায় জেলার ৫৭টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রামের ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল। জামালপুর জেলায় প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমি ও সিরাজগঞ্জে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জামালপুর-শেরপুর যোগাযোগ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন