ইলিয়াস আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানি ঈদের বাকি অল্প দিন। আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা। শুরু হয়েছে কোরবানির পশু নিয়ে হিসেব নিকেশ। তৎপর গরু ব্যবসায়ী হাটের ইজারাদাররা। মাসের বেতন হাতে পেয়ে কোরবানিদাতারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। বেশিরভাগ কোরবানিদাতার আগ্রহ দেশি গরুর প্রতি হলেও এবার এক্ষেত্রে রাজশাহীতে সুখবর নেই। এবারো রাজশাহী জেলায় কোরবানির পশুর ঘাটতি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে একেবারে শেষ মুহূর্তে বানের পানির মতো ভারতীয় গরু আসায় কাঙ্খিত দাম পায়নি স্থানীয় খামারী আর বাড়িতে লালন পালনকারীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হয়েছে। এরপর গো-চারণ ভূমি না থাকা, খাদ্যের দাম বেশি এবং বিভিন্ন কারণে খামার কমে যাওয়ায় কাঙ্খিত পশু উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে চারলাখ সাড়ে ৪ হাজার পশুর। জেলার নয় উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় সতের হাজার সাতশটি খামার রয়েছে। গতবার জেলায় পশু জবেহ হয়েছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯টি। যার মধ্যে গাভী ও বকনা দুই হাজার ৯৮১টি, ষাঁড় ও বলদ ৭১ হাজার ২৫৬টি, মহিষ ৭৪৫টি, ছাগল তিন লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪টি ও ভেড়া তিন হাজার ৮৪৩টি।
এখন পর্যন্ত খামার ও গৃহস্থ ঘরে কোরবানির জন্য সম্ভাব্য মজুত রয়েছে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৪টি। যার মধ্যে গাভী ও বকনা ছয় হাজার ১৮টি, ষাঁড় ও বলদ ৭১ হাজার ৮৩১টি, মহিষ দুই হাজার ৬৭৫টি, ছাগল দুই লাখ ৭৪ হাজার ৭৫টি ও ভেড়া ১৩ হাজার ৬৭৫ টি এবং অন্যান্য এক হাজার ১৩৬টি। প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে প্রতিবছর ২শতাংশ বৃদ্ধি ধরে সম্ভাব্য চাহিদা নিরুপন করা হয়। এতে আগামী ঈদে ৩৪ হাজার ৮৭৫টি পশুর ঘাটতি রয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অন্তিম কুমার সরকার ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারকে বলেন, চাহিদা ও তালিকা সবই সম্ভাব্য সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত কোরবানির পশুর ঘাটতি হবে না বলে তিনি আশা করেন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন