ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্লেক রোস্তমের দাম হাকিঁয়েছেন ৮ লাখ টাকা। ব্লেক রোস্তম অন্য কোন প্রাণী নয়, এটি হল হেলালের শখের একটি ষাঁড় গরু ব্লেক রোস্তম। হেলাল শখ করে এর নাম দিয়েছেন ব্লেক রোস্তম। যার ওজন ৮শ কেজি। ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতাই ষাঁড়টি দেখে ছবি তুলে নিচ্ছে এবং দর-দামও করছে। কিন্তু হেলালের চাহিদা মাফিক দাম কেউ হাকঁছে না।
পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের পাগলা বাড়িতে হেলাল খাঁনের মায়ের দোয়া গরুর খামারে ৩৩-৩৫টি গরুর মধ্যে ব্লেক রোস্তম অন্যতম। গত ৩ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ান ফিজিসিয়ান জাতের এই ষাড়টি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার-খড়, ভূষি, খৈল, ঘাস খাইয়ে লালন-পালন করে আসছে হেলাল খাঁন।
ষাঁড় মোটাতাজাকরণে কোনো প্রকার স্টেয়রেড, ক্ষতিকর অপদ্রব্য এবং ইকজেশন বা কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টি পালন করে আসছে হেলাল। প্রত্যেকদিন ষাঁড়টি জন্য ১০-১২ কেজি ধানাদার খাদ্য খর, খৈল, ভূষি, কুঁড়া, কাঁচাঘাস খাওয়ানো হয়ে থাকে। দানাদার খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় ষাঁড়টি লালন-পালন করতে প্রচুর টাকা খরচ বহন করতে হচ্ছে থাকে। তাই শ্রম ও ষাঁড়ের লালন-পালন অনুযায়ী দাম না পেলে এবার নাও বিক্রি করতে পারেন ব্লেক রোস্তমকে।
হেলালের এই ষাঁড়টি দেখতে এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় করছে তার বাড়িতে। সকাল-বিকাল সারাদিন দলবেঁধে ছেলে-মেয়েসহ সব বয়সের লোকজন দেখতে আসছে ব্লেক রোস্তম’কে।
মায়ের দোয়া খামারের ও ব্লেক রোস্তমের মালিক হেলাল খাঁন জানান, এই অস্ট্রেলিয়ান বিশেষ জাতের ষাঁড়টিকে ৩ বছর ধরে শখের বসে আমার খামারে লালন-পালন করে আসছি। এই ষাঁড়টির নাম দিয়েছি ‘ব্লেক রোস্তম’। এই ‘ ব্লেক রোস্তম’কে প্রতিদিন ১০-১২ কেজি ধানাদার খাদ্য কাচাঁ ঘাস, খৈল, কুড়াঁ, ভূষি, খর খাওয়ানো হচ্ছে। মোটাতাজাকরণে কোন প্রকার স্টেয়রেড, অপদ্রব্য খাবার বা ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করে আসছি। এর ওজন ৮শ কেজি, দাম হাকিঁয়েছি ৮ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে অনেক ক্রেতাই দেখতে আসছে এবং দাম হাকিঁয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযাযী দাম কেউ বলছেন না।
হেলাল খাঁন জানান, যদি চাহিদা অনুযায়ী দাম না পান এবারের কোরবানির ঈদে নাও বেচঁতে পারেন বলে জানান তিনি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম