কৃষি প্রধান আমাদের এ বাংলাদেশে বিগত কয়েক যুগ আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে আমরা কৃষি সমৃদ্ধি অর্জন করেছি। শুধু তাই নয় নানা প্রকার খাদ্য দ্রব্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্র অর্জন করা হয়। তবে মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। এজন্য বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে আমদানির মাধ্যমে মসলার ঘাটতি পূরণ করতে হয়। কারণ আমাদের মায়েরা মসলা ছাড়া খাবার রান্না করবেন এ কথা চিন্তাই করা যায় না।
মসলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়িয়ে দেয় না মসলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভেষজ পুষ্টি উপাদান, যা মানব দেহের জন্য খুবই প্রয়োজন। অল্প পরিমান জমিতে মসলার চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আর্থিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), কুমিল্লার আয়োজনে, নবীনগর নাছিরাবাদ ব্লকে, বারি উদ্ভাবিত মসলা জাতীয় ফসলের পরিচিতি ও আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবস শেষে কৃষক কৃষাণীদের, একাঙ্গী, চুঁইঝাল, কারিপাতা, তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, আলুবোখারা, দারুচিনির চারা বিতরণ করা হয়। কুমিল্লা অঞ্চলে মসলার চাহিদা মিটানো এবং পুষ্টি চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে মসলার চারা বিতরণের মাধ্যমে চাষে আগ্রহী করে তোলা মাঠ দিবসের উদ্দেশ্য।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ড. মো. ওবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। সভাপতির বক্তব্য রাখেন- জেপি দেওয়ান, সহকারী কমিশনার(ভূমি) নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-ড. মো. মনিরুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, মাগুড়া; কৃষিবিদ মো. আবু তাহের, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; কৃষিবিদ মো. আসিফ ইকবাল, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা অঞ্চল।
সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ মো. আইউব হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা।
সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকমস/মোমিন