যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশমুখে পশুর হাট, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

385

যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশমুখে পশুর হাট, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দনিয়া, শনিরআখড়া, রায়েরবাগের রাস্তা ও এলাকাসহ প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে বসেছে কোরাবানী পশুর হাট। বর্তমানে পশুর হাট সড়ক থেকে এলাকার মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকার প্রবেশমুখের দুই ধারে রাস্তা বন্ধ করে বসেছে পশুর হাট। এতে গাড়ি, এম্বুলেন্সসহ কোন কোন ধরনের যানবাহন যেতে পারছে না। পশুর হাট বসায় গরুর মল-মূত্রে রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাফেরা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

আলেয়া নামের এক নারী জানান, মেয়েটা দুই দিন ধরে অসুস্থ। শনিরআখড়ার পাশেই মাতুয়াল হাসপাতাল। তাকে হাসপাতালে নিবো বলে কোন রিকশা শনিরাআখড়ার প্রধান সড়কে যেতে পারছে না। বাধ্য হয়ে হেটে যেতে চাচ্ছি কিন্তু সড়কের প্রবেশ গেটে গরু বেঁধে রেখেছে। মানুষই ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছে না। গাড়ি কিভাবে যাবে?

আলেয়া আরোও বলেন, ভিড়ের মধ্যে মেয়েটাকে কোলে করে নেওয়াটাও অনেক বিপদজনক।ইজারাদাররা লোভের কারণে এভাবে মানুষকে ভোগান্তি দিচ্ছে। নির্দিষ্ট জায়গায় হাটের কথা থাকলেও তারা অতি লোভে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।

শাহাবুদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তি জানান, একটা এলাকায় প্রবেশের প্রধান রাস্তা বন্ধ। ভাবেন কতটুকু অমানবিক তাঁরা। প্রশাসনের লোক দাড়িয়ে আছে অথচ এঁদের সামনে দিয়েই হাট বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আল্লাহ না করুক কোন ধরনের দুর্ঘটনা বা আগুন লাগলে ইমারজেন্সিতে এম্বুলেন্স বা ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি কিভাবে এলাকায় যাবে? এই এলাকায় অনেক লোকের বসবাস রয়েছে।

শাহাবু্দ্দিন বলেন, ইজারাদারদের বিবেক দেখে অবাক হচ্ছি। অতিবিলম্বে গরু সরিয়ে প্রধান সড়ক খুলে দেওয়া উচিদ বলে জানান তিনি।

হানিফ নামের এক গরু ব্যবসায়ী জানান, শনিরআখড়ায় গরু রাখার কোন জায়গা নেই। অনেকে গরু রাখার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় রাখতেছে, তাই আমরা নিরুপায়। আমি নীলফামারী থেকে দুটি গরু এনেছি বিক্রীর জন্য। এখন এখানে গরু না রাখলে কোথায় যাবো ?

এ বিষয়ে ইজাদার কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/জাকির