ভোগ্যপণ্যের অস্থিরতা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ক্যাব

377
ভোগ্যপণ্যে

পবিত্র ঈদ-পুজা ও পার্বনকে ঘিরে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে, সরবরাহ লাইনে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত পবিত্র ঈদুল আজহার সময় মসলা, সয়াবিন, পেঁয়াজ, আদা, রসুন নিয়ে নানা কারসাজি করলেও সরকারের উদোগে বাজার মনিটরিং, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা, টিসিবিকে দিয়ে কিছু পণ্য বিক্রির ঘোষণাসহ বেশকিছু পদক্ষেপে পরবর্তীতে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে পেঁয়াজ, চিনি ও সয়াবিনের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।
এ অবস্থায় জরুরী ভাবে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, ক্যাব, গণমাধ্যম ও চেম্বার প্রতিনিধি সমন্বয়ে বাজার তদারকি জোরদার, স্থানীয় ও জাতীয় ভাবে ব্যবসায়ীদের সাথে জরুরী সভা করে সম্ভাব্য করনীয় নির্ধারন, বিকল্প উৎস থেকে এ সমস্ত পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা, বিকল্প বাজার হিসাবে টিসিবির মাধ্যমে ভোগ্য পণ্য বিক্রি জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতায় এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজার ও দেশি পেঁয়াজের বাজারেও। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অজুহাত, ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে বন্যা হওয়ায় এবং পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছে, আমদানি কম হওয়ার সুযোগ নিয়ে হিলি বন্দরের পাইকাররা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় যখনই কোন পণ্যের সংকট তেরী হয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর দোষ চাপান আর খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারী ব্যবসায়ীদের উপর দোষ চাপিয়ে জনগনের নাবিশ্বাস তৈরী করেন।

অন্যদিকে বাজেটে শুল্ক আরোপের কথা বলে চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে ও বাজার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা হিসাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বাজার তদারকি জোরদার করা, বিকল্প হিসাবে টিসিবিকে সক্রিয় করে চিনি, সয়াবিন ও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া, বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করার করার দ্রুত উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমান আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম একটি উদ্ভাবনী মডেল চলমান ছিলো। যেখানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন সফল ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করলেও বর্তমানে এ ধারাটি আর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের মতো অতিজনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে না নিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাহিত হচ্ছে। ফলে সাধারন মানুষের জীবন-জীবিকায় দুর্ভোগ লাগবের বিষয়গুলি গৌণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকারের অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগের সফল তৃণমূল মানষ উপভোগে সম্ভব হচ্ছে না।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম,ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ