রোগবালাই কম হওয়ায় আখ চাষে মনোযোগী ভোলার কৃষকরা

1602

আখ চাষ

ভোলা জেলায় গত কয়েক বছর ধরে আখের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছরই এখানে আখ আবাদের জমি সম্প্রসারিত হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে আখ চাষ হয়েছিলো ৫৩৬ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে (২০১৮-১৯) আবাদ হয়েছে ৮২৪ হেক্টর জমিতে। আখের রোগবালাই কম হওয়া, দাম ভালো পাওয়া, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ সেবা,ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কারণে আখের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে আখের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৪৪ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল, নোয়াখালী, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখান থেকে আখ বিক্রি করা হয়।

 জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বীনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ জেলায় গুড় করার চেয়ে চিবিয়ে খাওয়ার আখটা বেশি আবাদ করা হয়। কারণ চিবিয়ে খাওয়ার আখে গুড় করার চেয়ে অন্তত ১০ ভাগ লাভ বেশি হয়। তাই দাম বেশি পাওয়াতে চাষিরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া সম্প্রতি ধান চাষে লাভ কম হওয়াতে অনেক চাষি আখের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

ভোলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, জেলায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে আখ চাষ হয়েছিলো ৫৩৬ হেক্টর জমিতে। ২০১৩-১৪ বছরে ৪৪ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৮০ হেক্টর। ২০১৪-১৫ বছরে হয়েছে ৬১৩। ১৫-১৬ অর্থবছরে চাষ হয়েছে ৭০৫ হেক্টর জমি ও ১৬-১৭ বছরে হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। ১৭-১৮ বছরে ৭৮০ ও ১৮-১৯ বছরে ৮২৪ হেক্টর জমি। প্রতিবছরই জেলায় আখ চষের জমির পরিমান বাড়ছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ভোলায় কালী বোম্বাই, বোম্বাই, ২০৮, ঈশ্বরদী-২০৮ জাতের আখের চাষ বেশি হয়। প্রায় বছরকালীন মেয়াদের ফসল আখ গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে ক্ষেতে রোপণ করেছেন কৃষকরা। আগস্ট থেকে অনেক স্থানে আগাম কর্তন শুরু হলেও অক্টোবর পর্যন্ত ফসল তুলবে চাষিরা। তবে বর্তমানে বাজার দর বেশি পাওয়ায় প্রথম দিকের আখ রোপণকারীরা লাভবান হচ্ছেন বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কৃষক রহমত মিয়া,ও বারেক আলী বলেন, আখে সাধারণত রোগ বালাই তেমন দেখা যায়না। তারপরেও কখোনো রেড-রড রোগ দেখা দেয়। এবছর এ রোগের উপদ্রব ছিলোনা। তাই তাদের ৭ হেক্টর জমিতে আখের ফলন ভালো হয়েছে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের আখ কর্তন শুরু হবে। এবার আখের ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন তারা।-বাসস

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ