আউশ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন শেরপুরের কৃষকরা

288

আউশ ধান

শেরপুর জেলায় আউশ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। সরকারের কৃষি প্রণোদনা এবং আউশ মৌসুমে উন্নত জাতের ধান বীজ কৃষকদের আউশ আবাদে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। বৃষ্টির পানিতেই আউশ আবাদ করা যায় বলে সেচ খরচ লাগেনা। বোরো এবং আমনের মাঝামাঝি সময়ে আউশ আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তারা একে ‘বোনাস ফসল’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

বুধবার বিকেল ৫টায় শেরপুর সদরের ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া বিশ্ববাজার এলাকায় রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত আউশ প্রদর্শনী প্লটের এক ধান কাটা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় কৃষক মোকাররম আলীর দুই বিঘা জমির ব্রি-ধান-৪৮ কেটে শুকনা অবস্থায় হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। কৃষক আউশে এমন ফলন পেয়ে দারুণ খুশী। এ উপলক্ষে প্রদর্শনী প্লটের পাশে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সময় কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, এখন ধান উৎপাদনে খরচ কমাতে সেচ নির্ভর ধানের আবাদ কমাতে হবে। তাছাড়া লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ এবং খেতের বিভিন্ন স্থানে ডালপালা পুতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে পাখি বসার জন্য পার্চিং করে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে। এজন্য তারা কৃষকদেরকে বৃষ্টি নির্ভরআউশ ধানের আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন প্রধান অতিথি এবং সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রেজিয়া খাতুনের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।

এছাড়াও সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিয়াসাত সাদাত ও কৃষক ফিরোজ মিয়া বক্তব্য রাখেন। মাঠ দিবসে এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ