মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: দিনে দিনে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে ফসলি জমি। তার সাথে হচ্ছে স্বাস্থ্যের হানি। ধ্বংসলিলায় যুক্ত নানাবিধ প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে তামাক চাষ। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না তামাক চাষ।
শুরুটা বৃহত্তর রংপুরে হলেও তামাক চাষ ক্রমেই পদ্মা নদী ধোয়া কুষ্টিয়া দৌলতপুরের চরাঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ। যে জমিতে কিছুদিন আগেও ধান, গম, পাট আখ ও সব্জির আবাদ হতো এখন সে সব জমিতে এখন তামাক চাষ।
তার মতে তামাক কোম্পানিগুলোর কৌশল ও লোভনীয় অফারে প্রতিবছর শত শত একর ফসলি জমি চলে যাচ্ছে বিষবৃক্ষ নামক তামাক চাষের আওতায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে খাদ্য নিরাপত্তা।
মানিকগঞ্জের তামাক চাষীরা বলেন , তামাক চাষে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যবহার করছে কোম্পানীগুলো। নানা কৌশলে আমাদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে তারা। বিষবৃক্ষ তামাকের ক্ষতির বিভিন্ন দিক স্বীকার করে তারা বলেন, আমরা জেনেশুনে বিষবৃক্ষ তামাকের চাষ করছি। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা তামাক চাষে এলাকার কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে। বীজ,সার থেকে শুরু করে বীজতলা পর্যন্ত তাদের তত্বাবধানে করা হয়।
তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’র ওপরই চলছে, তামাক কোম্পানীর অশরীরি নিয়ন্ত্রণ। যে কারনে মানিকগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনো চলছে অবাধে তামাক চাষ।
স্থানীয় লোকজন জানান, এই ভাবে তামাক চাষ বাড়তে থাকলে পুরোদমেই বন্ধ হয়ে যাবে অন্যান্য ফসলী আবাস। অন্যান্য আবাদের চেয়ে তামাক চাষ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে কৃষকরা সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। তামাকের আবাদ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘদিন তামাক চাষে যুক্ত থাকলে ক্যান্সার, পেট, বুক ও ঘাড়ে ব্যথা সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।