নেত্রকোনায় জেলায় সাড়ে ৪ লাখ মে. টন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন আদীবাসি নারীসহ স্থানীয় কৃষকেরা। এবছর বন্যা ও টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় আবাদ একটু দেরীতে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
হাওর নদী পাহাড়ের জেলা নেত্রকোনা এ জেলায় বেশীর ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ধানের জেলা হিসেবে পরিচিত নেত্রকোনায় এখন রোপা আমন ধান আবাদের ধুম পড়েছে। কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে চাষাবাদ। জমি চাষ, বীজ তলা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ, চারা রোপনসহ জমি প্রস্তুতির কাজে এখন দারুণ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন স্থানীয় কৃষকরা। ইতোমধ্যে নেত্রকোনার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরী,মদন,মোহনগঞ্জ এবং কলমাকান্দায় কিছু অংশ বাদে জেলার পূর্বধলা,কেন্দুয়া,বারহাট্রা,দূর্গাপুর,আটপাড়াও নেত্রকোনা সদর উপজেলায় চলছে আমন আবাদের ধুম।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছর জেলার ১০ উপজেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৩২০হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে প্রায় ৮০ ভাগ জমিতে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খড়ায় ক্ষতি না হলে নির্ধারিত জমিতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মে. টনের অধিক ধান উৎপাদিত হবে। আর ধান থেকে উৎপাদিত চাল হবে সাড়ে ৩ লাখ মে. টন।
কৃষকরা জানিয়েছেন,মৌসুমের শুরুর দিকে বন্যা ও বৃষ্টিপাত বেশী হওয়ার কারণে রোপা আমন আবাদে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তাই হাতে সময় কম থাকায় এখন পরোদমে চলছে আবাদ।জেলার ১০টি উপজেলায় অধিক রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সর্বত্র শেষের পথে আবাদ। বীজতলা তৈরী শেষে জমিতে চাষ,চারা সংগ্রহ,চারা রোপনের মাধ্যমে সূর্য উঠা থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত জমিতে কৃষকদের চলছে রাত দিন কষ্ট করে ভাল ফলনের চেষ্টা।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের কল্যানে সকল প্রকার সহায়তা করবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা নেত্রকোনার স্থানীয় কৃষকদের।
জেলায় এবার ১ লাখ ২৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ভাগ জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। এই রোপণ কাজ চলবে সেপ্টেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত। এছাড়া সকল প্রকাল সার মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ