মাগুরায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জেলার প্রায় ৩০ হাজার গরু বর্তমানে এই ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সরকারী ভাবে কোন ওষুদ না থাকায় ব্যয় বহুল চিকিৎসা করতে বিপাকে পড়েছে গরুর মালিকরা। এই অসুখে আক্রান্ত গরুর গলা ফুলে যাচ্ছে, এছাড়া গরুর চামড়ার উপরি অংশে টিউমার জাতীয় উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ফুলে যাচ্ছে পা। সাথে রয়েছে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রী তাপমাত্রার জ্বর।
গত ১৫ দিন ধরে মাগুরা পৌর এলাকার শিবরামপুর, বাটিকাডাঙ্গা, কালিনগরসহ জেলার অধিকাংশ গ্রামে পর্যায়ক্রমে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আতংকিত এবং দিশেহারা হয়ে গরুর খামার মালিক ও সাধারন কৃষকরা। উপায় না পেয়ে পশু হাসপাতালে যেমন ভিড় করছে -তেমনি গ্রাম্য পশু ডাক্তারদের শরনাপন্ন হতে হচ্ছে।
এদিকে এই অসুখে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশি খাচ্ছে গরুর খামার মালিক ও কৃষক। তারা জানান, আক্রান্ত প্রতিটি গরুতে তাদের প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার ওষুধ লাগছে। যা বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এ কারনে এ ব্যাপারে সরকারি চিকিৎসা সহায়তা জরুরী।
জেলা পশুসম্পদ বিভাগ এটিকে লাম্পি স্কিন ডিজিজ হিসাবে চিহিৃত করে এটি মাছি বাহিত ভাইরাসে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস জানিয়েছেন, মাগুরা সদরের ৮৫ হাজার গরুর মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ হাজার গরু এই অসুখে আক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু মাছি বাহিত রোগ একারনে এটির বিস্তার খুব দ্রত ঘটছে। সরকারী কোন ওষুদ সরবারহ না থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
সরকারী হিসাবের বাইরে গত দুদিন মাগুরা পৌর এবং সদর উপজেলার ৭ টি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ গরু এ ভাইরাসে আক্রান্ত। গরুর মালিকরা জানান ৩০ থেকে ৪০ হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখনো কোন গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দ্রæত সরকারী ওষুদ বরাদ্দ দিয়ে চিকিৎসা, সঠিক পরামর্শ ও সচেতনতা সৃষ্টিই এ ভাইরাস দমনে কার্যকরি হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ