আমাদের দেশে চিংড়ি খুবই জনপ্রিয় ও সুস্বাদু মাছ। অন্যান্য মাছের চেয়ে চিংড়ি মাছের বাজার মূল্য একটু বেশি। দেশের প্রায় সকল এলাকার স্বাদু পানির জলাশয় গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত। ঘের বলতে বোঝায়, নিচু ধানের জমি যার চারপাশে উঁচু জমি অথবা মাটির শক্ত বাঁধ দেয়া এলাকা। বর্ষাকালে ঘের পানিতে ভরে যায় বলে এই মৌসুমে ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। ঘেরে প্রথমে ধান চাষের পর সেখানে চিংড়ি চাষ করা যায়। আবার চিংড়ি আহরণ করার পর সেখানে ধান চাষ করা যায়। আমাদের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ঘের পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে।
গলদা চাষে ঘেরের বৈশিষ্ট্য
গলদা চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। যেমন-
১. গলদা চিংড়ি চাষের জন্য নির্বাচিত ঘেরে ৪-৬ মাস ৩-৪ ফুট উচ্চতার পানি ধরে রাখার সুবিধা থাকতে হবে।
২. ঘেরের মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকতে হবে যাতে ঘের তাড়াতাড়ি শুকিয়ে না যায়।
৩. সাধারণত দোআঁশ বা বেলে-দোআশ মাটির ঘের গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত।
৪. ঘের একটু নিচু জায়গায় হলে পানি ধরে রাখতে সুবিধা হয়।
৫. ঘেরে বন্যার পানি যেন প্রবেশ না করতে পারে এবং বন্যা বা বৃষ্টির পানিতে বাঁধ যেন প্লাবিত না হয়। নিচু ঘেরের বাঁধ উঁচু করে বেঁধে বন্যামুক্ত করে চিংড়ি চাষের উপযুক্ত করা যায়।
৬.ঘেরে যথেষ্ট সূর্যালোক পড়তে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ