দেশি ও উপসী জাতের মরিচ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। খাগড়াছড়ির স্থানীয় বাজারে কৃষকরা এ মরিচের দামও ভালো পাচ্ছেন। প্রতিকেজি উপসী জাতের মরিচের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর দেশি মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তরকারিতে মরিচের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। তবে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে তরকারির পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের মরিচ ভর্তা খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে। পাহাড়ে মূলত দুই ধরনের মরিচের চাষ হয়। দেশি মরিচ ও উপসী জাতের মরিচ।
এক হেক্টর পাহাড়ি জমিতে ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি মরিচের বীজ অথবা ৪০ হাজার চারা প্রয়োজন হয়। দেশি মরিচ এক হেক্টর জমিতে কাঁচা অবস্থায় ফলন আসে ১০ থেকে ১২ টন। এদিকে, উপসী জাতের প্রতিটি গাছে ৪০০ থেকে ৫০০টি মরিচ ধরে। স্থানীয় বাজারেই এসব মরিচ বিক্রি হয়। স্থানীয় বাজারে বিক্রি হওয়ায় পরিবহন খরচ কম হওয়ায় লাভ অনেক বেশি হয়।
খাগড়াছড়ির এপিবিএন এলাকার বাসিন্দা কৃষক আশরাফ উদ্দিন বলেন, স্থানীয়ভাবে মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে বাজারজাতের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ বছর খাগড়াছড়িতে ৩৮৯ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। সে হিসেবে খাগড়াছড়িতে মোট মরিচের ফলন হয়েছে চার হাজার ৬৬৮ টন। পাহাড়ের মাটি উর্বর হওয়ায় মরিচের ফলন ভালো হয়। এছাড়া স্থানীয় মরিচের চাহিদা বেশি থাকায় কৃষক ভালো দাম পাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মর্তুজ আলী বলেন, স্থানীয়রা ঝাল একটু বেশি পছন্দ করে। তাই স্থানীয়ভাবে মরিচের চাহিদাও বেশি। এতে করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে চাষিদের মরিচ বাজারজাত করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি তাদের সহায়তা দেওয়ার।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ