বিষমুক্ত আগাম জাতের ফুলকপি চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। বিশেষ পদ্ধতিতে রোপণ ও বিষমুক্ত এই ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা। এজন্য তারা কৃষি অফিস থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এই ফুলকপি চাষ খুব লাভজনক হওয়ায় এলাকার কৃষকরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে এবার লাভের মুখ দেখতে বসেছে বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। এই ফুলকপি চাষ করতে কোনো বিষ অথবা রাসায়নিক সার লাগে না। তবে এই পদ্ধতিতে গোবর সার ও দেশীয় সবুজ সার প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
গতবার যে ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল সেই ফুলকপি এবার ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পিস হিসেবে আগাম টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে কৃষকরা আগাম জাতের ফুলকপি বিক্রি করে দ্বিগুণেরও বেশি লাভের আশা করছে।
এক বিঘা ফুলকপি উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো। অথচ ফুলকপি মাঠে থাকতেই এক বিঘা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম মূল্যের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়। অন্য যে কোনো ফসল থেকে আগাম জাতের বাঁধাকপি চাষে অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এই কপি চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের এই আগাম জাতের কপি উৎপাদনের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। এবার বীরগঞ্জে ৭৮ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের বাঁধা কপি চাষ করা হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
বিশেষ পদ্ধতিতে রোপন ও বিষমুক্ত এই কপি চাষ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পরুক এমনই প্রত্যাশা করছে কৃষকরা।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ