শামুক বিক্রি করেই চলে সংসার

935

শামুক
শামুক বিক্রি করে চলে ওদের সংসার। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় মাছের ঘেরে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় শামুক। এছাড়া সাদা মাছ ও চিংড়ির ঘেরে উৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় শামুকের ভেতরের শ্বাস। শামুক ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে খুলনার রূপসা উপজেলার শতাধিক পরিবার।

উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ধোপাখোলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিল থেকে শামুক সংগ্রহের পর তা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন শামুক কুড়ানিরা। ঘের মালিকরা এগুলো কিনে ভাঙার দায়িত্ব দেন টাকার বিনিময়ে। এই গ্রামটি ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রায় ১০০টি পরিবারের ২৫০ জন সদস্য প্রায় দুই যুগ ধরে এই শামুক খোলা পেশার সঙ্গে জড়িত।

ভোর হলেই রাস্তার দুই ধারে বস্তাভর্তি শামুক নিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করেন এই পেশার মানুষজন। বর্ষার শুরু থেকে শীত পর্যন্ত চলে এ মৌসুমি পেশা। শামুক ভেঙে এসব হতদরিদ্র মানুষেরা প্রতিদিন ২ থেকে ৩শ টাকা উপার্জন করেন। প্রতি বস্তায় প্রায় হাজার খানেক শামুক থাকে। যা বস্তা প্রতি ৭০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়। আর শামুকের ভিতরের অংশ (গেতো) চিংড়ি মাছের খাবার হিসেবে ঘেরে দেওয়া হয়। আর উপরের খোশা চুন ও ফিসমিল তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।

গ্রামের প্রভাতি রায় জানান, বাপ-দাদার আদি পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তারা। এই শামুক ভেঙে যে টাকা আয় হয়। তা দিয়ে আমাদের চলতে খুব কষ্ট হয়।

অপরদিকে একই গ্রামের শামুক ভাঙার সঙ্গে জড়িত শিলা বিশ্বাস বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এই কাজ করে আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতে হয়।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ