বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি একটি প্রধান সমস্যা। বিগত বছরগুলোতে দেখা যায় উৎপাদিত প্রাণিজ আমিষ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে না। কিন্তু মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রাণিজ আমিষ যথাঃ দুধ, ডিম, মাংস ইত্যাদির গুরুত্ব ব্যাপক বা অপরিসীম। প্রতিদিন মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষের প্রয়োজন ২৫ গ্রাম এবং প্রাপ্যতা ৫.৭ গ্রাম/জন। ফলে মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক পরিপূর্ণতা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
দেশে শতকরা ৬৫ ভাগ লোক অতি দরিদ্র এবং অধিকাংশ লোক পুষ্টিহীনতায় ভূগছে। পারিবারিক পর্যায়ে খরগোশ পালন করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, আয় বৃদ্ধি এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। অন্য প্রাণির তুলনায় খরগোশ সহজেই পালন করা যায়। ইহার খাদ্য এবং ব্যবস্থাপনা সহজ বিধায় বাড়ীর মহিলা ও ছেলে মেয়েরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে সহজেই খরগোশ পালন করতে পারেন।
আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, বৃটেন, নেদারল্যান্ড, চীন জাপানসহ অনেক দেশে বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ প্রতিপালন হয়। বাংলাদেশে ইহার পালন এবং মাংস এখনও জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। তবে, বি,আর,ডি,বি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কিছু বেসরকারি সংস্থা খরগোশ পালনে খামারিদের উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়েছে। বাণিজ্যিকভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খরগোশ পালন অত্যন্ত লাভজনক।
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির যে খরগোশ দেখা যায়, তন্মধ্যে সাদা, কালো, ডোরা এবং খয়েরী রংয়ের খরগোশ বেশী। বাংলাদেশে প্রাপ্ত জাতসমূহের মধ্যে ডার্ক গ্রে (নেটিভ), ফক্স, ডাচ, নিউজিল্যান্ড লাল, নিউজিল্যান্ড সাদা, নিউজিল্যান্ড কালো, বিলজিয়াম সাদা এবং ছিনছিলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
খরগোশ পালন অনেক লাভজনক তাই বাড়িতেই খুব সহজে খরগোশ পালন করতে পারেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ