মুরগি পালনের ক্ষেত্রে গ্রীষ্মের গরমজনিত পীড়নের সময় বিশেষ যত্ন নিতে হয় এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাতে বাসস্থানের পরিবেশ এবং দেহের অবস্থা কিছুটা আরামদায়ক করা যায়। খাদ্য ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা উন্নত ও সময়োপযোগী করে মুরগিকে পীড়নের অবস্থা থেকে রক্ষা করা যায়। নিম্নে কতকগুলো ব্যবস্থাপনার বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো:
১. অত্যাধিক গরমের সময় খাদ্য গ্রহণ কমে যায়। এ সময় খাদ্যে আমিষের পরিমাণ না বাড়িয়ে লাইসিন ও মিথিওনিন নামক দু’ টো এমাইনো এসিডের পরিমান প্রয়োজনীয় তুলনায় বাড়িয়ে খাওয়াতে হবে।
২. সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সুনাম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্ততকৃত ভিটামিন ‘সি’ প্রস্ততকারীর নির্দেশমত ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে লেবুর রস মিশ্রিত পানি দেয়া যেতে পারে।
৩. অল্প পরিমাণ খাদ্য থেকে যেন বেশি পরিমাণ শক্তি পায় এজন্য খাদ্যে কিছুটা চর্বিজাতীয় উপাদান মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
৪. খোলাঘরের ছাদে চট বিছিয়ে পানি দিয়ে ঘন ঘন ভিজিয়ে দিতে হবে।
৫. ঘরের ভিতরে ও বাইরে ফ্যান চালিয়ে বাতাস নাড়াচাড়ার ব্যবস্থা রাখলে মুরগির কিছুটা স্বসিত্ম পাবে।
জন্মের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চা মুরগির খাদ্যের প্রযোজন হয় না। এ সময়ের মধ্যে বাচ্চা কিনে একস্থান থেকে অন্যস্থানে আনা নেয়া করা হয়। জন্মের পর খামারে আনার পর পরই খাবার পানি সরবরাহ করতে হবে। প্রথম ৪ দিন লিটারের উপরে কাগজ বা চট বিছিয়ে বা টিনের পাত পেতে তার উপরে চাল, গম বা ভূট্টার ক্ষুদ ছিটিয়ে দিতে হবে। ৩ দিনের দিন হোভারের নীচে বা বেষ্টনী গার্ডের মধ্যে পাত্রে খাবার দিতে হবে। সাথে আলাদা পাত্রে খাবার পানি দিতে হবে। আস্তে আস্তে খাবার পাত্রে খাদ্যাভ্যাস হয়ে গেলে মেঝেতে খাবার দেয়া বন্ধ করতে হবে। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিতে নজর রাখতে হবে। ভিটামিন হিসাবে প্রচুর কাঁচা শাকসব্জি ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে দেয়া যেতে পারে।ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ