কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, ঢাকা এর আয়োজনে কুমিল্লায় নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কুমিল্লার প্রশিক্ষণ হলে এই আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ১০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে মোট ভূমির শতকরা ২০ভাগ এবং মোট আবাদি জমির ৩০% বিস্তৃত রয়েছে। লবণাক্ততার কারণে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফসল উৎপাদনে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অধিকাংশ জমি এক ফসলী। বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের কারণে মাটিতে লবনাক্ততা কম থাকায় এসব এলাকায় রোপা আমন চাষ হয়। বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করলেও অন্যান্য দানাদার জাতীয় ফসল যেমন-গম,ভূট্টা, বার্লি, ডাল ও তেল জাতীয় ফসল এবং উদ্যানতাত্বিক ফসলের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই এসব এলাকায় উক্ত ফসলের আধুনিক চাষাবাদ বাড়িয়ে কৃষককের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ মো. শাহ আলম, পরিচালক, প্রশাসন ও অর্থ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর(ডিএই), খামারবাড়ি, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষিবিদ মো. আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, চট্রগ্রাম অঞ্চল। সভাপতিত্ব করেন- কৃষিবিদ শ্রীনিবাস দেবনাথ, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চল।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান, প্রকল্প পরিচালক, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। অনুষ্ঠানে কারিগরি সহযোগিতা করে কৃষি তথ্য সার্ভিস কুমিল্লা।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ