কুড়িগ্রামে সবজি বিক্রি করেই সংসার চালায় রিজু

641

[su_slider source=”media: 1722,1727″ title=”no” pages=”no”]

জিতেন চন্দ্র দাস, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: রিজু আহমেদ, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। রৌমারী ডিগ্রী কলেজে পড়ে। চার বছর আগে তার বাবা মারা যায়। মা আর দু’বোন এক ভাইকে নিয়ে সংসার। বড় ভাই আধ পাগল। শাক-সবজি চাষ করে পরিবার চালায়। তা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করা বেশ কঠিন।

মা, ভাই ও বোনদের নিয়ে পরিবারে দুঃখ-কষ্টে অন্ত দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র রিজুর। কিন্তু অভাব থাকলেও পেটতো আর মানে না অভাব, ক্ষুধা লাগলে খেতেই হবে। তাইতো রিজু পড়া-লেখা সামলিয়ে এলাকার বর্গা জমি নিয়ে চাষ করে। প্রায় দিনে শাক-সবজি আঁটি বেঁধে বাজারে বিক্রি করে। এ থেকে যা আয় হয় তা গোটা পরিবার চালায় ও পাশাপাশি পড়া-লেখা করে। আর এতে পরিবারের অভাব কিছুটা হলেও মোছন হয়।

মৃত সজজামালের ছেলে রিজু আহমেদ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মন্ডল পাড়া নামক এলাকায় থাকে। ওই এলাকার বর্গা জমিতে শাক-সবজি চাষ করে কোনোমতে জীবন যাপন করছে রিজুর পরিবার। সবজি বিক্রি করে পরিবারের সদসদের খাবারের ব্যবস্থা করেন রিজু। আর বাড়িতে পড়া-লেখা করে সুযোগ বুঝে বের হন, জমিতে শাক-সবজি চাষে। বর্গা জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি তুলে ধুয়ে আঁটি করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। এতে তার কিছু আয় হয়। সেই আয় পরিবার চালান ও পড়া-লেখার খরচে লাগান।

দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র রিজু আহমেদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,আমার বাবার মৃত্যুর আগেও আমাদের পরিবারে অভাব ছিল। বাবার মৃত্যু হওয়ার পরেই আরও অভাব বেরে যায়। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম বর্গা জমি নিতে। আর সেই বর্গা জমিতে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করি। এদিইে কোনোমতে চলছে আমাদের পরিবার। শাক-সবজি চাষ করে আমি পরিবার চালাই ও পাশাপাশি লেখা-পড়া করি। এছাড়াও আরও বলেন, কারো কাছে শাক-সবজি চাষের পরামর্শ না নিয়েই বর্গা জমি নিয়ে চাষাবাদ করছেন।

এভাবেই চলছে রিজুর পরিবার। দুঃখ-কষ্ট আর দারিদ্রতা বেঁচে থাকা রিজুর। স্বপ্ন দেখেন হয়তো একদিন তাদের অভাব দূর হবে। এনিয়ে ধীর গতিতে পথ চলছে হার না মানা রিজু।