বিশ্বের প্রথম ভাসমান দুগ্ধ খামার

352

ভাসমান খামার
ভাসমান দুগ্ধ খামার আছে এ কথা শুনেছেন? হ্যা! নেদারল্যান্ডে স্থাপিত হয়েছে বিশ্বের প্রথম উচ্চ প্রযুক্তির ভাসমান দুগ্ধ খামার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচু হওয়ায় নেদারল্যান্ড দেশটির চারদিকে বাঁধ দেয়া আছে। ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশ গত কারণে ডাচরা সমুদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। তাই তারা বাঁধ ও সেতু নির্মাণে বেশ দক্ষ। শুধু নিজ দেশেই নয়, বিশ্বের নানান দেশেই ডাচদের তৈরী শহর রক্ষা বাঁধ ও সেতু রয়েছে।

এরই ধারাবাহিতায় নিজ দেশে ভাসমান দুগ্ধ খামার নির্মাণ করছে ডাচরা। পানিতে ভাসমান এই খামারটি সেই দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা পূরণ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই ফার্মটির অবস্থান রটারডামে। বলা হচ্ছে, বিশেষ এই স্থাপনাটি ডাচদের আইকনিক স্থাপনার একটি।

বেলাডন নামের প্রপার্টি কোম্পানি বন্দরনগরী রটরডামে এই বিশেষ খামারটি বানিয়েছে। খামার পরিচালনায় উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হবে বলেও জানা গেছে। গরু থেকে দুধ দোহন, দুধ পরিবহনে বিশেষ পরিবহন ও বিশেষ এলইডি বাতির ব্যবহার হবে খামারে। তিনতলা উচ্চতার খামারটি সমুদ্রতটে নোঙর করা থাকবে। খামারটি চালু হবে চলতি বছরের শেষ দিকে। দৈনিক ৮০০ লিটার দুধ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে খামারটির।

এ ধরণের খামারের ধারণা প্রথম দেন ডাচ প্রকৌশলী পিটার ভ্যান ভিনডেগারডেন। তিনি জানান, হ্যারিকেন স্যান্ডির আঘাতে অনেক খামার তলিয়ে যাওয়ায় তাজা খাবার সংকট দেখা দেয়। তখন থেকেই প্রযুক্তি নির্ভর খামারের পরিকল্পনা করেন এই প্রকৌশলী। খামারে ব্যবহৃত উপকরণ পুনর্ব্যবহার করা হবে। খাবার আসবে রটারডামের ৮০ ভাগ খাদ্য শিল্প থেকে।

এছাড়াও খামারে উৎপাদিত ঘাসও দেয়া হবে গরুদের। স্থানীয় গম মিল থেকে কিছু উপজাত সংগ্রহ করা হবে। এখানকার শক্তির চাহিদা মেটানো হবে সৌর বিদ্যুৎ এর সাহায্যে। বিশেষ সেলফ ব্যবহার করে ঘাস উৎপাদন করা হবে সেখানে। এই খামারে উৎপাদিত দুধ উৎপাদনের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় সেখানে পাস্তুরিত করা হবে। এখানে দইও উৎপাদিত হবে। গোবর ব্যবহার হবে সার হিসেবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, এটি হবে আইকনিক স্থাপনা ও মাইলফলক যা ভবিষ্যতে এ ধরনের খামার করতে উদ্বুদ্ধ করবে। পানি, সার ও কীটনাশক কম লাগায় আদর্শ হয়ে উঠতে পারে এই খামারটি। তবে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদায় এ ধরনের খামার কতটা যোগান দিতে পারে সেটা এখন দেখার বিষয়।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ