আখের উপড় ভিত্তি করে উত্তরাঞ্চলে মোট চিনিকল আছে পাঁচটি । স্থানীয় আখের যোগানের উপর মূলত এই চিনিকলগুলো নির্ভরশীল। এই অঞ্চলে অনেক আখ চাষিও আছেন যারা মূলত এই চিনিকলগুলোতে আখের যোগান দিয়ে থাকেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এই চিনিকল গুলো কখনো লাভের মুখ দেখেনি।
পাঁচটি চিনিকলের ঋণ আর লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। চিনিকলের এমন লোকসান কেন জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলেন, আখ সঙ্কট। আসলেই কি এমন পরিস্থিতির জন্য আখ সঙ্কটই আসল কারণ? কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলেও এটাই প্রধান কারণ চিহ্নিত করে চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি বিকল্প ভাবার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
শুধু আখ সঙ্কটের কারণে গেল মাড়াই মৌসুমে পুরোপুরি দুই মাসও ঘোরেনি শ্যামপুর চিনিকল মিলের চাকা। মান্দাতা আমলের যন্ত্রপাতি নিয়ে কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে মিল চললেও সময়মতো টাকা না পাওয়ার অভিযোগে এবার আখ চাষে অনাগ্রহী কৃষক। সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, টাকা না পাওয়ায় তারা ঘৃণাভরে আখ উঠিয়ে ফেলেছে।
বন্ধ থাকায় শ্যামপুরের মতো উত্তরের জনপদ রংপুরের পাঁচটি চিনিকলের সবকটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের লোকসানের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে দুই হাজার এক শ’ কোটি আর বারো শ’ তেই শ’ কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনিকলগুলো।
সারাবছর মিলের দরজা খোলা রেখে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য মিলগুলোতে পুরোনো যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করে চিনি উৎপাদনের বিকল্প কিছু ভাবার দাবি শ্রমিক কর্মচারীদের। রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের চিনিকলগুলোতে এখনও প্রায় সতেরো হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে।
শ্যামপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রজেক্ট দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, লোকসান আছে, এমপ্লয়মেন্ট আছে। এ নিয়ে আমরা শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বারবার কথা বলেছি।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ