আউশের বাম্পার ফলন, নায্য দাম নিয়ে আশাবাদী কৃষকরা

358

শেরপুরে ‘বোনাস ফসল’ আউশের ধানকাটা উৎসব

খরা বর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টির পরেও আউশের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। ৯৫ শতাংশ আউশ কাটা হলেও ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। আউশ চাল বাজারে আসায় অন্যান্য চালের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। ভারত থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হচ্ছে না। এ অঞ্চলের চার জেলার সরকারি খাদ্য গুদামে ৪১ হাজার ২১৭ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল।

দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় ২৪ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ হাজার ৭২১ হেক্টর জমির আউশ ধান কর্তন করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৫১ হাজার ৭শ’ মেট্রিকটন আউশ চাউল। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫০ হাজার ৭৭৪ মেট্রিকটন। আর বতমানে ৯৫ শতাংশ জমির আউশ কর্তন এর মধ্য দিয়েই উৎপাদিত হয়েছে ৫২ হাজার মেট্রিকটন আউশ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, এবছর সরকার কৃষি প্রণোদনা দেয়ার কারণে, কৃষকেরা উৎসাহিত হয়েছে।

এছাড়া কৃষি কর্মকতাদের সঠিক পরামর্শ ও ফিল্ড পর্যায়ে কাজ কারার কারণে আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী বছর আমরা আউশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করে বোরো ধানের মৌসুমে ভূট্টা ও তেলের ঘটতি মেটাতে অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করবো।

কৃষক জহির হোসেন বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার আউশের ফলন ভাল। এ মৌসুমে বৃষ্টির কারণে সেচ কম দিতে হয়েছে। আউশের ফলন ভাল হওয়ায় চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় ১৯ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বীজতলা করা হয়েছে। বতমানে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। গতবছর এ সময় ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৬ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিলো।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ