আম উৎপাদনের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এখানকার উৎপাদিত আম সারা দেশসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে সরবরাহ করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ বছর আমের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে।
রাজশাহীর শীবগঞ্জে এ বছর ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির আম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭ লক্ষ ৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৪৩.৭৫ মেট্রিক টন।
কর্মকর্তারা বলেন, আম চাষিরা বাগানের পরিচর্যা ঠিকমতো না করার জন্য এ বছর আমের উৎপাদন কম হয়েছে। ঠিকমতো আম বাগান পরিচর্যা করলে আগামীতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল খান শামীম আমের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়াকে মূল কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন।
বাগান মালিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আম চাষ করতে গিয়ে যা খরচ হয় তা উঠাতে তাদের হিমশিম খেতে হয় আর লাভ তো অনেক দূরের কথা। তাই তারা আমের চাষ আগেরমতো বিশাল পরিসরে না করে স্বল্প পরিসরে করছে যার জন্য আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম আমিনুজ্জামান বলেন, এ বছর শিবগঞ্জে ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি আম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্ত চাষিরা ঠিকমতো আম বাগান পরিচর্যা না করায় ৪২ হাজার ৯৫৬.২৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন কমে উৎপাদন হয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৪৩.৭৫ মেট্রিক টন।
গেল মৌসুমে ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির মধ্যে ১০ হাজার ৫৩৮.৭৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টি আম গাছে গুটি আসে। আর হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৭ দশমিক ৬ মেট্রিক টন।
কৃষিবিদ এসএম আমিনুজ্জামান বলেন, আম বাগান ঠিকমতো পরিচর্যা না করার কারণে মূলত আম উৎপাদন কম হচ্ছে। যদি আম বাগান ঠিকমতো পরিচর্যা করা হয় তাহলে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন করা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি আম চাষিদের বাগান পরিচর্যার মাধ্যমে আম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে।
চাষিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে অনুপ্রাণিত করছি। এছাড়া আম বাগান পলিং এবং নতুন প্রজাতের গাম উৎপাদনের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যেনো আগামী আম মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আমের উৎপাদন বেশি হয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ