শীতকালীন শাকসবজির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।সবজি চাষিরা শীতকালীন শাকসবজির চাষাবাদ কাজে নিয়োজিত থেকে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষকরা জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লালশাক, সবুজশাক, মূলা, পালংশাক, ফুলকপি, পাতাকপি, ডাটাশাক, শিম, বেগুন, শশা, ঢেড়স, গাজর এবং লাউ চাষ পুরোদমে শুরু করেছেন।
আগাম জাতের শীতকালীন শাকসবজি ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।বর্তমানে বাজারে উঠা শীতকালীন সবজির দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারী সবজির হাটবাজার হচ্ছে যশোর সদর উপজেলার বারীনগর এবং চুড়ামনকাঠি।এখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার সবজি রপ্তানী হয়ে থাকে।ভোর থেকে সারাদিনই চলে সবজির বেচাকেনা।
সোমবার জেলা শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে,খুচরা বাজারে প্রতিকেজি শিম ৫০ থেকে ৬০টাকা,বেগুন প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০টাকা, ফুলকপি প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৪৫টাকা, পাতা কপি প্রতিকেজি ৩০ টাকা, পালং শাক প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মূলা প্রতিকেজি ৩০টাকা, মিডিয়াম সাইজের লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫টাকা এবং লালশাক ও সবুজশাক প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর জেলার আট উপজেলায় ১৬হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।সবজি চাষের এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ জেলায় এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হবে। ইতোমধ্যে জেলার সদর,বাঘারপাড়া, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা, কেশবপুর, মনিরামপুর এবং অভয়নগর উপজেলায় প্রায় ১০হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। সবজি চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতকালীন শাকসবজি পাওয়া যাবে।খাদ্যের গুনগত মান রক্ষায় এবং স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কীটনাশক ছাড়াই আলোর ফাঁদ পেতে সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ